খড়গপুর 30 সে নভেম্বর :
ক্রমাগত দূষণে অতিষ্ঠ খড়্গপুরবাসী।অবশেষে রেশমি মেটালিক নামক একটি আয়রন কারখানার দূষণ নিয়ে জেলাশাসকের কাছে আবেদন কমিটির।এর আগেও তারা আবেদন করেছিল তাতে কোন কাজ হয়নি। এর পরেও জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটি।প্রয়োজনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ারও হুমকি এই কমিটির তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য খড়গপুর কে রেল শহর এবং শিল্প শহর হিসেবেই জানা যায়।খড়গপুরের সাহাচক এলাকায় মূলত এক ও একাধিক শিল্প রয়েছে।এখানে রেশমি মেটালিক নামে একটি আয়রন কারখানা রয়েছে।এই রেশমি মেটালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় মানুষ সহ খড়গপুর শিল্প দূষণ প্রতিরোধ কমিটি। তাদের অভিযোগ রেশমি মেটালিক থেকে প্রচুর পরিমাণে দূষণ ছড়াচ্ছে এবং তার কালো ধোঁয়া অত্যান্ত ক্ষতিকারক। আইরন শুধু মানুষের পেটে ঢুকছে তা নয় তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবেশকে নষ্ট করে তুলেছে।সকাল থেকে সন্ধ্যা আস্তরণে ঢেকে থাকছে বাড়ির ছাদের চাল,গাছের ডালপালা,জমি জমা,পুকুরঘাট প্রভৃতি। দিনের পর দিন মানুষ ক্যান্সারের মতন মারন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শয়ে শয়ে। ইতিমধ্যে এখানকার দূষণের মাত্রা (air quality index) ২৬২ AQI যা কলকাতা থেকেও বেশি।
এর ফলে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষজন। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতে।তারা চাইছে অবিলম্বে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করুক এই কারখানার মালিক।এই নিয়ে এর আগে আগস্ট মাসে বিধানসভায় এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তৎকালীন বিধায়ক হিরণ্ময় চট্টোপাধ্যায়।পরবর্তীকালে দূষণ নিয়ে জেলাশাসকের দরবারে বসেছিলেন প্রাক্তন জেলাশাসক রেশমি কোমল। কিন্তু তত দূর পর্যন্তই থেমে গেছে তারপর থেকে আর এগোয় নি এই নিয়ন্ত্রণ করার কোন পদ্ধতি।এরই মধ্যে দূষণের মাত্রা আরো ছাড়িয়েছে বেশি করে।তাই বাধ্য হয়েই একপ্রকার জেলা শাসকের কাছে ফের হাজির হলেন এই কমিটির মানুষজন।দাবি করলেন অবিলম্বে এই বিষয়ে নজর দিক প্রশাসন।না হলে আগামী দিনে হাইকোর্টে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিলেন তারা।
যদিও এ বিষয়ে রেশমি মেটালিকের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কোন ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।ফোন রিসিভ করেননি জেনারেল ম্যানেজার অভিষেক রায়। পরে কথা বলবে বলে আর জানান নি।