Pond Rescue:আবর্জনা ফেলে পুকুর ভরাট করছে অন্যেরা,পরিষ্কার করে বাঁধিয়ে স্বচ্ছ পুকুর করার আবেদন অংশীদারদের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

এক ঠিক যেন উলোট পুরাণ।আমরা বিভিন্ন সময়ে জেলা শহর এবং বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দেখেছি পুকুর ভরাট করছে মালিক কর্তৃপক্ষ। সেই জলাশয় বুজিয়ে রাতারাতি তারা সেই জায়গায় বড় বড় অট্টালিকা তৈরি করছে, তৈরি করছে ফ্ল্যাট।আর তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ করেছে এলাকাবাসীরা।সেই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে প্রশাসনের।কিন্তু তারই উল্টো চিত্র দেখা গেল মেদিনীপুর শহরের ১৮ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজারের উকিল পুকুর এলাকায়।

মূলত এখানে রয়েছে প্রায় ৭১ ডেসি মিলের “উকিল পুকুর”নামে একটি বৃহৎ পুকুর।গত ১০০ বছর ধরে এই পুকুর এখানে রয়েছে।যার জল এলাকার মানুষ যেমন ব্যবহার করে,তেমনি সেই জলের ব্যবহার করে তার অংশীদাররা।পূর্বপুরুষের মৃত্যুর পর বর্তমানে অংশীদাররা এসে পুকুরে দেখভাল করে।এরকম অংশীদারের সংখ্যাও অনেক।কিন্তু অংশীদারদের অভিযোগ,দিনের পর দিন এলাকার পাড়া প্রতিবেশ সবাই নিজেদের বাড়ির আবর্জনা,নোংরা পায়খানার বাথরুমের মলমূত্র ফেলছে এই পুকুরে।দিনের পর দিন বাড়ি তৈরি করার মাল,মেটেরিয়াল,ইট,বালি, চিপস ফেলছে এই পুকুরে।তার ফলেই বুজে যাচ্ছে পুকুর।এই নিয়ে এই অংশীদারীরা বিভিন্ন জায়গায় অভাব অভিযোগ জানিয়েছেন।কখনো পৌরসভায় কখনো ফিসারি ডিপার্টমেন্টে কখনো বা উপর মহলে।তারপরও শুনছে না কেউই।প্রায় ৭১ ডেসিমেলের পুকুর সংকুচিত হয়ে পড়ছে।এরই সঙ্গে এলাকায় বাড়ছে মশার উপদ্রব তার থেকে বাড়ছে রোগের প্রাদুর্ভাব।তাই এই পুকুরের বর্তমান অংশীদারীরা অবশেষে সরকার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন এই পুকুর তারা নিজেরা নিয়ে নেয় এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তার পাড় বাঁধিয়ে দেয়।শুধু তাই নয় বরং মাছ চাষ অথবা লাভজনক ব্যবসাও করতে পারে প্রশাসন।তাতে এলাকায় যেমন পুকুর ভরাট থেকে বাঁচবে।তেমনি বাঁচবে এলাকার পরিবেশ।কারণ তাদের পক্ষে এত টাকা নেই যে পুকুর বাঁধিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলবেন তারা।

এই বিষয়ে পুকুরের অংশীদার সুশান্ত দাস,শুভজিৎ দাস,গৌতম দাসরা বলেন আমাদের পুকুরটি উকিল পুকুর নামে পরিচিত। বিগত শতাধীক বছর ধরে তারই জল ব্যবহার করছি আমরা এবং এলাকাবাসী। কিন্তু দিনের পর দিন এলাকাবাসী তাদের বাড়ি ভাঙা রাবিশ,নোংরা বালি ফেলে যেমন পুকুর ভরাট করছে তেমনি মল মুত্র ফেলে পুকুর টিকে নোংরা আবর্জনাময় করে তুলেছে। যা দেখে অত্যন্ত খারাপ লাগে এবং আমাদের কাছে অত টাকা নেই যে পুকুরটিকে বাঁধিয়ে সংস্কার করে ফেলব।তাই আমরা সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি যাতে পুকুর ভরাট না হয়।এরই সঙ্গে আবেদন রইল যাতে এই পুকুরটি সরকার নিজের দায়িত্ব নিয়ে সংস্কার করে পাড় বাঁধিয়ে সারিয়ে দেয়।


Share

dnews.in