Digital Marketing:বড় বড় মল সঙ্গে অনলাইনে ডিজিটাল অফারের লেনদেন তাতেই ব্যবসা হারাচ্ছে গ্রাম বাংলার মুদিখানা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

ডিজিটাল ইন্ডিয়া!একদিকে যেমন তার তর তর করে বাড়ছে দেশের উন্নতি অপরদিকে তখন ডিজিটাল লেনদেন এবং ডিজিটাল যুগে হারাচ্ছে গ্রাম বাংলার মুদিখানার ব্যবসা।আর এই ব্যবসা হারানোর আশঙ্কায় আশঙ্কিত হয়েই ব্যবসা বন্ধের আতঙ্কে রয়েছেন এই ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীরা।

প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় ভারত ডিজিটাল ইন্ডিয়া রূপান্তরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় অনলাইনের কেনাবেচা।যেখানে অন্যান্য জিনিসপত্রের পাশাপাশি ঘরের হেঁসেলের ভুসিমালের টুকিটাকি সহ যাবতীয় দ্রব্য পাওয়া যায় এই অনলাইনে এবং ঘরে বসে। জিরা,হলুদ,লঙ্কা থেকে শুরু করে তেল মশলা, সাবান,নিরমা এবং সঙ্গে ঘি মাখন ও সরষের তেল।একদিকে দামেও কম অন্যদিকে বেশি কিনলে ডিসকাউন্ট।আর তাতেই মজেছে এখন তরুণ প্রজন্ম সহ জঙ্গল মহলের গ্রাম বাংলা সহ শহরের মানুষজন।আর এই কারণে হারাচ্ছে ছোট ছোট মুদিখানার ব্যবসা।যারা একসময় পড়াশোনা করে চাকরি বাকরি না পেয়ে ব্যাংক থেকে ছোট ছোট লোন নিয়ে সংসার এবং জীবিকা নির্বাহ করার জন্য মুদিখানা শুরু করেছিল এবং এই গ্রাম বাংলার মানুষদের অতি সহজে দু টাকা ৫ টাকা জিনিস দিয়ে কেনাবেচার মাধ্যমে সংসার চালাতো,তারা আজ পড়েছেন মহাফাঁপরে।কারণ একদিকে প্রতিদিন যেভাবে মালের দামের ওঠা নামা সেই সঙ্গে অফারের ছড়াছড়িতে হারাচ্ছে তাদের ব্যবসা এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বড় বড় মল এবং শপিংমল।

যেখানে অতি সহজে যেমন ডিসকাউন্ট দিচ্ছে সেই সঙ্গে ঘরে অতি সহজেই সুলভে পৌঁছে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।প্রতিটা ক্ষেত্রেই জিনিসের পার্থক্য দামের পার্থক্য দাঁড়াচ্ছে ১০-২০ টাকা থেকে কখনো কখনো ৭০-৮০ ও ১০০-২০০ টাকা।তাই গৃহস্থালির টুকিটাকি খরচ বাঁচাতে এখন ডিজিটাল মাধ্যম এবং অনলাইন সঙ্গে মলের উপরেই ভরসা রাখছে আপামর এই জেলা বাসি।আর এই ঘটনায় খদ্দের হারিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ছোট ছোট এই মুদিখানার ব্যবসায়ীরা।তারা বুঝে উঠতে পারছে না তাদের করা লোন কিভাবে চুকাবে বা এই ব্যবসা আগামী দিনে কিভাবে চালাবে।

এই নিয়ে ছোট ছোট মুদি ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্রনাথ জানা, মাধব পালরা,”বলেন আগে এই গ্রাম বাংলার ভুসিমালের যোগান তারাই জোগাড় দিয়েছে।কারণ ছোট ছোট এই দুঃস্থ পরিবারে দু টাকা এক টাকার লঙ্কা,জিরা হলুদ, দেওয়ার ক্ষমতা তাদেরই ছিল।কিন্তু আস্তে আস্তে বড় বড় শপিংমল গজিয়ে ওঠে তাতে ব্যবসার ক্ষতি হয়।এরপর এই অনলাইনের দাপটে তাদের ব্যবসা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে।যেখানে আগে প্রতিদিন হাজার,দু হাজার টাকা বিক্রি হতো সেখানে এখন ১০০ টাকা বিক্রি করতে হিম সিম খেয়ে যাচ্ছি।চাকচিক্য ও অফারের ছড়াছড়িতে মানুষ আকর্ষিত হয়েছে অনলাইনে।আর তাই আমাদের কাছে আসছে না সেই সব ক্রেতারা।গুটিকয়েক মান্থলি কাস্টমার রয়েছে তার ওপর ভর করে কোনক্রমে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছি।তবে কতদিন টিকাতে পারবো সেটাই প্রশ্নের।

তবে এই মুদিখানাদের আশঙ্কার এবং তাদের ব্যবসার বিপর্যয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে মেদিনীপুরের ব্যবসায়ী সংগঠন।কনফেডারেশন অফ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য A.D বর্মন বলেন এই ডিজিটাল মাধ্যমে মানুষ আকর্ষিত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ব্রান্ডের মাল এবং ভালো জিনিস পেতে গেলে সেই ছোট ছোট মুদিখানায় ভরসা।কারণ এই ছোট ছোট মুদিখানার একদিকে যেমন মাসের পর মাস ধার দিয়ে ব্যবসা করে,সেই সঙ্গে তারা ভালো জিনিসপত্র রাখে। এটা মানুষের বুঝতে একটু সময় লাগবে।সাময়িক ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে কিন্তু আগামী দিনে আস্তে আস্তে করে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী।


Share

dnews.in