নিজস্ব প্রতিনিধি,ঘাটাল:
বানভাসি ঘাটাল,তবে তার মধ্যেই পুলিশ ও স্বাস্থ্য প্রশাসন তৎপরতায় উদ্ধার হল ৩৬২ জন গর্ভবতী মহিলা।যার মধ্যে ২৪৫ জন মহিলা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছে।তাদের রাখা হয়েছে মাতৃ-কুটিরে।তবে জলমগ্ন এই পরিস্থিতিতে সাপের আতঙ্ক তাড়া করছে ঘাটালের মানুষকে।এই কয়েকদিনে প্রায় ১৫২ জন কে সাপে কেটেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।যা নিয়ে ঘুম উড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের।তবে সকলেই সুস্থ রয়েছেন।তাদের কে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর ঘাটাল এবং খড়গপুর হাসপাতালে।
গত কয়েকদিন ধরে জলমগ্ন পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শেষ প্রান্ত ঘাটাল এলাকা।শুধু ঘাটাল না,সেই সঙ্গে বিপরীত পাশে ডেবরা কেশপুর, পিংলা, সবং,খড়গপুর গ্রামীণ সহ জলমগ্ন পরিস্থিতি দাসপুর এলাকা।এই পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন ত্রান বিলিতে নেমেছে প্রশাসন সহ বিভিন্ন সংঘ সংগঠন তেমনি বন্যার্ত মানুষকে উদ্ধারে নেমেছে তারা।তবে এই বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে প্রশাসনের তৎপরতায় উদ্ধার হয়েছে শয়ে শয়ে প্রসূতি মহিলা এবং জরুরী পরিষেবা যুক্ত মানুষজন।প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী গত সাত দিনে ঘাটাল এবং পার্শ্ববর্তী বন্যা কবলিত এলাকার ৩৬২ জন গর্ভবতী মহিলাদের পুলিশ, স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের উদ্যোগে উদ্ধার করা হয়।তাদের ঘাটাল মহকুমা এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ‘মাতৃ-কুটির’এ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এর মধ্যে ২৪৫ জন গর্ভবতী মহিলা সুস্থ সন্তান প্রসব করেছেন এবং বাকিদেরও নির্দিষ্ট সময়ে প্রসবের জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এই নিয়ে গতকাল জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার,জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী,মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক,সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গী সহ পুলিশ,স্বাস্থ্য আধিকারিক বৃন্দ ঘাটাল মহকুমা এবং সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বন্যা কবলিত ঘাটাল সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি থেকে প্রশাসনের দ্বারা উদ্ধার করে আনা গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলাদের সুচিকিৎসার জন্য নির্মিত ‘মাতৃ-কুটির’ পরিদর্শন করেন এবং সুব্যবস্থা বন্দোবস্তের পর্যবেক্ষণ করেন।
তবে এবারে বন্যার জল নামলেও সাপের আতঙ্ক তাড়া করেছে ঘাটালে।কারণ চারিদিকে জলমগ্ন পরিস্থিতির জন্য সাপেরা আশ্রয় নিয়েছে মানুষের ঘরে।তথ্য অনুযায়ী বিগত কয়েক দিনে জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলিতে মোট ১৫২ জন মানুষকে বিষধর সাপে কামড়েছে।এই বিষয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের দ্রুততা ও তৎপরতার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে কোনো জীবনহানি ঘটেনি।এই সাপে কাটা আক্রান্ত রোগীদের ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল সেই সঙ্গে মেদিনীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং খড়গপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।