নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
হাতে মাত্র কটা দিন এরই মধ্যে উপনির্বাচনের নাম ঘোষণা হতে প্রচারে নেমে পড়ল বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়।বিগত মেদিনীপুরের বিধায়িকা অভিনেত্রী জুন মালিয়ার তিন বছরের কাজের খতিয়ান এবং সেইসঙ্গে অকাজের খতিয়ান নিয়ে তিনি মানুষের কাছে নিয়ে হাজির হচ্ছেন।এইদিন তিনি প্রথমে মন্দিরে মন্দিরে পূজো দিয়েই প্রচার শুরু করলেন,বললেন জিতব ১০০ পার্সেন্ট।
মেদিনীপুরে সদ্য ঘোষণা হয়েছে উপ-নির্বাচনের আর সেই উপনির্বাচনের ঘোষণা হতে এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল শাসক বিরোধীরা।তবে এবারের ২০২৪ এর মেদিনীপুর উপ-নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের শাসক দলকে পিছনে ফেলে দিল প্রধান বিরোধী বিজেপি দল। শাসক দলের আগেই বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা মেদিনীপুর উপ-নির্বাচনের।আর নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়।কে এই শুভজিৎ? শুভজিৎ রায় মেদিনীপুরের স্থায়ী বাসিন্দা, প্রফেশন মেদিনীপুর জর্জকোর্টের আইনজীবী।এই শুভজিৎ রায় ওরফে বান্টি ২০০৪ সাল থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত আছেন।এক সময় এবিভিপি থেকে করে আসা এই শুভজিৎ এবারে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর মেদিনীপুর বিধানসভায় শাসক দলের প্রার্থী প্রয়াত মৃগেন মাইতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন শুভজিৎ রায়। তবে বেশি টক্কর দিতে পারেননি।সেই যাত্রায় তিনি বিপুল ভোটে হেরে যান।এরপর মাঝে গেছে অনেকগুলো বছর।কেটে তবে তিনি থেমে থাকেননি।দু দুবার পৌরসভা ভোটে লড়াই করেছেন কিন্তু সামান্য ভোটে হেরে গেছেন তিনি।
২০২২ এর পৌরসভা ভোটে তিনি শাসক দলের তৃণমূল প্রার্থী গোলক বিহারী মাঝির কাছে পরাজিত হন।এরপর মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২০২৪ লোকসভা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের হয়ে তিনি প্রচারে বেরিয়েছিলেন।তিনি যেমন একদিকে দিলীপ ঘোষের সফরসঙ্গী তেমনি আবার শুভেন্দু অধিকারীরও প্রিয় পাত্র।যতবার মেদিনীপুরে প্রচার এসেছেন ততবারই তিনি শুভেন্দুর অনুগামী হয়ে কাজ করেছেন।এবার তিনি লড়াই করবেন মেদিনীপুরের উপ-নির্বাচনে।মূলত আগের দিন রাতে প্রার্থী ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়লেন তিনি।সকাল থেকে প্রথমেই মন্দিরে মন্দিরে দৌড়লেন পূজো দিতে। তারই মধ্যে এক প্রস্থ প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিলেন। এরপর একাধিক কর্মসূচি নিয়ে নেমে পড়লেন প্রচারে।
এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থীর শুভজিৎ রায় এদিন বলেন বিগত বিধায়িকা পাঁচ বছর কমপ্লিট করতে পারেননি। ফলে তিনি কাজও কোনো করেননি।মেদিনীপুরের যা অবস্থা তাতে বিধায়কের কাজের কোন উল্লেখ নেই।তিন বছর মাত্র ছিলেন তিনি।তাই মেদিনীপুরের সকল বিষয়ে বিধায়কের কি কাজ সেটা দেখানো দরকার। মেদিনীপুরের সকল মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে বলেই আমরা বিশ্বাসী।