নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
স্মার্ট প্রিপেড মিটার বাতিলসহ বেশ কয়েক দফা দাবিতে এবার রাস্তায় নামলো সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতি।এইদিন তারা বিক্ষোভ মিছিল করে এরপর বিদ্যুতের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিদ্যুৎ দপ্তর এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে। অবিলম্বে স্মার্ট প্রিপেড মিটার বাতিল করতেই হবে এই জোরালো দাবি তাদের মিছিল থেকে তোলা হয়। নেতৃত্ব দেন দীপক পাত্রসহ এই সমিতির শতাধিক সদস্য।
বিদ্যুতের ফিক্সড চার্জ, মিনিমাম চার্জ, DC-RC চার্জ বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার ও বিদ্যুৎ দপ্তর। গ্রাহকদের বিল বিপুল হারে আসছে।বিশেষ করে ক্ষুদ্র শিল্পে এক ইউনিট বিদ্যুৎ না ব্যবহার করলেও বর্ধিত ৪০০০ টাকার বিল পাঠাচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তর। আর এই অযৌক্তিক টাকা দিতে না পারলে লাইনও কেটে দিচ্ছে। এর ওপর আনস্মার্ট বিদ্যুৎ ব্যবস্থায়,স্মার্টলি টাকা লুঠের যন্ত্র স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানো শুরু করছে সরকার ও বিদ্যুৎ দপ্তর।এরই প্রতিবাদে ABECA র অর্থাৎ সারা বাংলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত হলো মেদিনীপুর শহরে।এইদিন মেদিনীপুর স্টেশন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেরানিতলা হয়ে ক্ষুদিরাম স্ট্যাচুর কাছে এসে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় সংগঠনের সদস্যরা।পোড়ানো হয় বিদ্যুৎ বিলের প্রতিলিপি।এরপর RM দপ্তরে তারা বিক্ষোভ দেখান। শতাধিক মানুষ যোগদান করেন এই প্রতিবাদী মিছিলে। দীপক পাত্রের নেতৃত্বে জলে এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ।
এইদিন মধুবাবু চন্ডীবাবু ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজ্য কমিটির সদস্য দীপক পাত্র,অশোক ঘোষ।এছাড়া ছিলেন দিলীপ দাস,সুশান্ত সাহু,অসিত সরকার,রঞ্জিত বাঁকুড়া,ভবানী চক্রবর্তী প্রমূখ।চন্ডী বাবু জানান সরকারি নির্দেশে বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে বেপরোয়া বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হচ্ছে সর্বস্তরের বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কার্যত দিশাহীন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র শিল্পে মিনিমাম চার্চ প্রতি কেভিএ ২০০ টাকা করে ( যা আগে ছিল না) নেওয়ার ফলে এক ইউনিটও বিদ্যুৎ না খরচ করে ৪ হাজার ৫ হাজার টাকার বিল আসছে। একই অবস্থা কৃষিতেও। পরিণতিতে ক্ষুদ্র শিল্প কৃষি আজ ধ্বংসের মুখে।যে গ্রাহকরা টাকা দিতে পারছেন না দপ্তর কর্তৃপক্ষ অতি তৎপরতার সঙ্গে লাইন কেটে দিচ্ছেন।কার্যত এক প্রকার ডাকাতি শুরু হয়েছে। অপরদিকে স্মার্টলি টাকা লুটের যন্ত্র স্মার্ট প্রিপেড মিটার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।এসবের প্রতিরোধে আজকের এই বিক্ষোভ।