নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একে একে ৬২ জনের তালিকায় নাম উঠলো সাড়ে ছয় বছর বয়সী সোমের।সিঙ্গেল মাদারের হাত ধরে সোম পাড়ি দিচ্ছে স্পেনের বার্সেলোনাতে।এদিন প্রশাসন থেকে সঙ্গে যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে তুলে দেওয়া হলো সিঙ্গেল মাদার মেরিটক্সেল রোসিচ গিমেজ কে।
দত্তক নেওয়ায় শীর্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। এবার ৬২ তম শিশু হিসেবে স্পেনে পাড়ি দিচ্ছে অনাথ সোম।মূলত বছরখানেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেল শহর খড়্গপুরের খড়গপুর স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছিল সাড়ে পাঁচ বছর বয়সের সোম কে।এই সোম কে কেউ ফেলে দিয়ে গিয়েছিল স্টেশনে।পরে জিআরপি এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে চাইল্ড লাইনের হাত ধরে সোমের ঠাঁই হয় হোমে।যদিও তার ছবি সম্মিলিত ডাটা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল child লাইন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন যাতে তার বাবা-মা তাকে ফিরে পায়।কিন্তু তাতে সুবিধে হয়নি। তবে এবার সোম যাচ্ছে স্পেনে। তাও আবার উড়োজাহাজে করে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হোম থেকে প্রতিবছরই দত্তক নেওয়া বাচ্চা সংখ্যা বাড়ছে।ইতিমধ্যে মোট ৬২টি শিশু দত্তক নিয়েছে বিভিন্ন দেশের এবং রাজ্যের মানুষজন।জেলা প্রশাসনের হাত ধরে সেই বাচ্চাগুলো নির্বিঘ্নে পৌঁছে গেছে তার বাবা-মায়ের কাছে।এই সোম কে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন দিয়েছিল হোম কর্তৃপক্ষ।সেই সূত্র ধরে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে হাজির হলেন এক সিঙ্গেল মাদার। তিনি দায়িত্ব নিলেন বছর ছয়ের এই সোমের।
মূলত স্পেনের বার্সেলোনাতে বসবাস কারী মেরিটক্সেল রোসিচ গিমেজ(Meritxell Rosich Gimenez)ওরফে চেরি একজন সিঙ্গেল মাদার।বছর ৪৭ এর এই মহিলা একটি কোম্পানিতে ডিরেক্টর পদে রয়েছেন।বহুদিন ধরে তিনি চেয়েছিলেন একটি বাচ্চা দত্তক নেওয়া।সেই মোতাবিক তিনি আবেদন দিয়েছিলেন।অবশেষে সমস্ত সরকারি নিয়ম-কানুন মেনে এদিন জেলাশাসকের হাত ধরে সোম পাড়ি দিল স্পেনের উদ্দেশ্যে।
এই বিষয়ে মেরিটক্সেল রোসিচ গিমেজ বলেন আমি একজন সিঙ্গেল মাদার আমি একটি কোম্পানিতে কর্মরত। আমি একটা বাচ্চার প্রয়োজন ছিল এবং সেই আবেদন করেছিলাম।তাতে আজকে আমি সোমকে পেয়েছি।সোমকে আমি পড়াশোনা সহ যাবতীয় শিশুদের পাঠক্রম যা দরকার আমি দেব এবং ওকে বড় করতে বড় ভূমিকা নেব আমি। সোম বড় হয়ে যা হতে চাই তাতেই পাশে থাকব আমি।
যদিও এ বিষয়ে জেলার জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেন আমাদের হোমের মোট ৬২ জন শিশু ইতিমধ্যে দেশ ভিন্ন রাজ্য এবং বিদেশে রওনা দিয়েছে। এখনো আটটি শিশু রয়েছে এই হোমে। আজকের সোম পাড়ি দিচ্ছে স্পেনে। আমরা ওর উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি।