নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
শনিবার ছিল বাংলা আর বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণের আরেক পার্বণ কার্তিক পুজো।আর এই কার্তিক পুজো নিয়ে রীতিমতো মেতে উঠলো মেদিনীপুর জেলার মানুষজন।তবে গোটা জেলার সঙ্গে মেদিনীপুর শহরে বিধাননগর J 27 বৃষ্ণি বাড়িতে সিনহা বাড়ির কার্তিক পুজো এক অন্যরকম রূপ নিল এই দিন।
এবছর এই পুজো পড়লো 38 তম বর্ষে।দীর্ঘ বছর ধরে এই পুজো করে আসছে এই সিনহা পরিবার।এবারও তার ব্যতিক্রম নয়, সেই একই পরম্পরা এবং নিয়ম নিষ্ঠা মেনে দাদার পুজোতে মেতে উঠলো এই সিনহা পরিবারের সদস্যরা।এই কার্তিক পূজার গল্পটা একটু আলাদা।ঘটনা সম্পর্কে জানা যায় এই সিনহা বাড়িতে পূজার সূচনা হয় বাড়ির বড় মেয়ে ত্রিনেত্রী মজুমদার(সিনহার) জন্মের আগে।সিনহা বাড়ির কর্তা দুর্গা প্রসাদ সিনহা ও মৈয়েত্রী সিনহার দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে কার্তিক পূজার আগের রাতে তার বন্ধু-বান্ধবরা বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে যান।সেই কার্তিককে ঘরে তুলে পূজোর সূচনা এই বাড়ির।সাধারণত বাড়িতে ফেলে যাওয়া কার্তিক পরপর তিন বছর পুজো করার পর শেষ যায় কিন্তু সিংহ বাড়ির কার্তিক রীতিমতো দাদা হিসেবেই পূজিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।চালু হওয়া সেই পূজা চলছে এখনো নিষ্ঠা সহকারে।
গৃহে সন্তান আসার কামনায় এই বাড়িতে শুরু হওয়া কার্তিক পূজার “কার্তিক ঠাকুর”কে বাড়ির দুই বোন ত্রিনেত্রী ও ছোট বোন সিবেলী ‘বড় দাদা’ বলে মানেন।তবে এবারে বড় বোন ত্রিনেত্রীর মন ভারাক্রান্ত।কারণ পড়াশোনার তাগিদে ছোট বোন সিবেলী পুজোর দিন নেই বাড়িতে।তবে দাদার পুজোতে কোনো খামতি না রেখেই রীতিমত বাবা-মায়ের সঙ্গে এবং মেয়ে লি কে নিয়ে মেতে উঠল কার্তিক পুজোতে।গত কয়েকদিন ধরেই চলেছে তার প্রস্তুতি চলেছে।বাড়িতে টুনি বাল্ব জ্বালানো সেই সঙ্গে আলপনা দেওয়া,ফুল দিয়ে সাজানো এবং পূজার ফলমূল নৈবেদ্য সহকারে প্রস্তুত করা সবই নিজের হাতে সামলেছে এই সিনহা পরিবার।পুজো হলো ধুমধাম করে রীতিমতো ঝাঁঝর কাঁসর ঘন্টা বাজিয়ে।
এ বিষয়ে সিনহা পরিবারের বড় মেয়ে ত্রিনেত্রী মজুমদার(সিনহা)বলেন,”একসময় বাবা মা শুরু করেছিল এই পুজো।সেই পুজো এখন আমরা পালন করি।আমরা আগেকার দিনের সেই পরম্পরা রীতিনীতি সবই মেনেই পূজো করি।তবে এই বর্তমানে ব্যস্ততার কারণে এই পুজোয় বোন সিবেলি আসেনি।আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ঘরের দাদার জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করতে।