Bimala Ghat :ধিক্কার জুন!নদী ঘাট উদ্বোধনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিধায়িকা জুন মালিয়া

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

তড়িঘড়ি ঘাটের নাম পরিবর্তন আর সেই নাম পরিবর্তন করে ঘাট উদ্বোধন করতে আসেন মেদিনীপুরের বিধায়িকা জুন মালিয়া।যদিও এই ঘাট উদ্বোধনে রীতিমত ক্ষোভের মুখে এই অভিনেত্রী।ঘটনা ক্রমে জানা যায় মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জে শেষপ্রান্তে কাঁসাই নদী রয়েছে একটি বিমলা মাতা ঘাট।

মূলত এই ঘাটের বহু মানুষ যেমন যাতায়াত করে তেমনি স্নান করা,কাপড় কাচা,ব্যবসা করা এবং এরই সঙ্গে এই জল গোটা শহরে প্রবেশ করেছে।দীর্ঘদিন বহু ধর্ম প্রিয় মানুষ বিমলা মায়ের পুজো করেন এবং এই ঘাটে রীতিমতো বসবাস করেন। কিন্তু এদিন হঠাৎ সেই ঘাটের নাম পরিবর্তন হয়ে গিয়ে বিমলা মাতা ঘাটের জায়গায় নামকরণ হয় স্বামীজি ঘাট। আর সেই ঘাটের উদ্বোধনে জন্য ডাক পান এই বিধায়িকা জুন।তিনি মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানকে সঙ্গে নিয়ে সদলবলে যখন বিকেল বেলায় হাজির ঘাট উদ্বোধনে তখন তাকে দেখেই ধিক্কার স্লোগান উঠে এলাকার মানুষের তরফ থেকে।শুধু তাই নয় জুন মালিয়া আসার আগেই গোটা ঘাট চত্বর পোস্টারে ছেয়ে যায়।জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে ধিক্কার লিখে প্রতিবাদ জানানো হয় এই পোস্টারে দিয়ে।তারপরও বিধায়িকা ঘাট উদ্বোধনে প্রবেশ করলেই স্লোগান ওঠে ধিক্কারের এবং এই ঘাট নাম পরিবর্তনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিধায়িকা এই ঘাট উদ্বোধন করেন এবং তারপর এলাকা ছাড়েন।

এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ মন্দিরের সেবাইত যোগী বালক নাথ জী বলেন মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এই ঘাটের নাম আমরা নামকরণ করি বিমলা মাতা ঘাট।সেই নামকরণ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে কিন্তু রাজনীতি উস্কানি এবং মারামারি হানাহানি করতে অনুদান দিয়ে রাতারাতি নাম পরিবর্তন করে দেয় এই রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রীরা।তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা।

যদিও এই নিয়ে জুন মালিয়া বলেন যখন ঘাটের নামকরণ হচ্ছিল তখন কেন এলাকার মানুষ বলেননি। যদি ওদের নাম পরিবর্তনে কোন সমস্যা হতো ওরা বলতেই পারতো।তবে আম খাব এবং তলারও কুড়াবো এই দু’রকম চলতে পারেনা। মন্দির কখনো দখল করা যায় না বলেই তিনি এলাকা ছাড়েন।


Share

dnews.in