নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
সময় সেই দুটো পাঁচ আর সেই সময় ধরে ৩৬ বছর পেরিয়ে ৩৭ বছরে পদার্পণ বিপ্লবী মেদিনীপুর টাইমসের।ঐতিহ্য বজায় রেখে অখণ্ড মেদিনীপুরের অগ্রণী দৈনিক (পত্রিকা)’বিপ্লবী মেদিনীপুর টাইমস’-র’৩৭তম মেধা পুরস্কার-২০২৪’ আয়োজিত হল মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে।ছাত্রীসহ বিশিষ্ট মানুষদের সংবর্ধিত এরই সঙ্গে বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কার প্রদান করলেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সহ পত্রিকার সম্পাদক তারা শংকর চক্রবর্তী।
গুটি গুটি পায়ে ছত্রিশ বছর পেরিয়ে ৩৭ বছরে পদার্পণ করলো অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বিপ্লবী মেদিনীপুর টাইমস পত্রিকা। প্রতি বছরের মতই এ বছরও মেধা অন্বেষণ করে মেধা পুরস্কার প্রদান।রবিবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতিত্বের পরিচয় দেওয়া পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ‘সেরা ২২’ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার ও আর্থিক বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও, মেদিনীপুর শহরের ৪০ জন পড়ুয়াকে সংবর্ধিত করা হয়। একাদশ শ্রেণীর দুঃস্থ ও মেধাবী ৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রীকে বই কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে অনুদান তুলে দেওয়া হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ৪৩ জন দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে সারা বছরের শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হবে পরবর্তী পর্যায়ে। এছাড়াও, খেলাধুলা, সঙ্গীত, নাটক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেলার নাম উজ্জ্বল করেছেন যাঁরা তাঁদেরও সম্মানিত করা হয়। বিপ্লবী মেদিনীপুর টাইমস দৈনিকের সঙ্গে যুক্ত থেকে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতায় অবদান রেখে চলে চলা অখণ্ড মেদিনীপুরের ৬ জন সাংবাদিককেও এদিন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন CMOH ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী,’রাষ্ট্রপতি পুরস্কার’ ও ‘শিক্ষারত্ন’ প্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ড. বিবেকানন্দ চক্রবর্তী, সাহিত্যিক ও গবেষক ড. মধুপ দে, চিকিৎসক কাঞ্চন ধাড়া, চিকিৎসকও কাউন্সিলর গোলোক বিহারী মাজি, কাউন্সিলর মৌসুমী হাজরা,কাউন্সিলর ও জাতীয় রেফারি ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী,স্পন্দন গ্রুপের ডাইরেক্টর পার্থ প্রতিম পাল প্রমুখ।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক ও সাংবাদিক অখিলবন্ধু মহাপাত্র এবং নৃত্য ও বাচিক শিল্পী শতাব্দী গোস্বামী চক্রবর্তী।
এই বিষয়ে পত্রিকা সম্পাদক তারাশঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “১৯৮৬ সাল থেকে বিপ্লবী মেদিনীপুর টাইমসের উদ্যোগে এই মেধা পুরস্কারের আয়োজন করা হচ্ছে।মূলত জেলা ও শহরের ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করার জন্য এই অনুষ্ঠান।এই বছর ৩৭ বছরে পদার্পণ করলো।আমার চাই সবার সহযোগিতা নিয়ে এইভাবে মেধা পুরস্কার চালিয়ে যেতে।যাতে জেলা এবং জেলার বাইরে প্রতিভা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনায় আরো এগিয়ে যায়।