নিজস্ব প্রতিনিধি,গড়বেতা:
:আর দশটা ছেলের মত বন্ধুবান্ধব,হইহুল্লোড় করে জন্মদিন পালন না করে বরং মানব সেবার মধ্যে দিয়ে জন্ম দিন পালন করল সমাজসেবী অনয় মাইতির ছেলে শিবম মাইতি।এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শেষ প্রান্ত গড়বেতার ধাধিকাতে ছোট ছোট বাচ্চাদের নতুন জামা কাপড় দিয়ে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই জন্মদিন পালন করা হয়।এই জন্মদিনে উপস্থিত হয়েছিলেন মাইতি পরিবারের সকল সদস্য,পরিচিত মানুষ সহ এলাকার মানুষজন।
মেদিনীপুর শহর-জেলায় বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং পরোপকারী মানুষ হিসেবে অনয় মাইতিকে সবাই চেনে। রোদ,জল-ঝড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় দুর্ভিক্ষ বন্যার ত্রাণ এমনকি মহামারী কোভিডের সময় একের পর এক দুঃস্থ অসহায় মানুষের সাহায্য করে গেছেন।এবার বাবার দেখানো পথেই হাঁটল ছেলে।এইদিন ছিল মাইতি পরিবারের শিবনের ২২ তম জন্মদিন।যদিও আর দশটা পরিবারের মত বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হই-হুল্লোড় বাজি ফাটানো অনুষ্ঠান না করে মানব সেবার মধ্য দিয়ে তার জন্মদিন পালন করলো সে।এইদিন সে তার পরিবারকে নিয়ে হাজির হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শেষ প্রান্ত গড়বেতার ধাধিকাতে।সেখানে গরিব,দুঃখ অসহায় বাচ্চাদের নতুন জামা কাপড় দিয়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন শিবন।পাশাপাশি সবাইকে মিষ্টিমুখ করা হয়।আর তাতেই উৎসাহ ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।বাচ্চাদের সঙ্গে হাজির হন তার পরিবার ও অভিভাবকেরা।মোমবাতি নিভিয়ে সবাই হ্যাপি বার্থডে টু ইউ বলে কেক কাটেন এই শিবমের।এই অনুষ্ঠানে এদিন উপস্থিত হয়েছিল মাইতি পরিবারের সকল সদস্য সহ শিবম এর বন্ধুবান্ধব ও নিকট আত্মীয়রা
এ বিষয়ে শিবম বলে,”আমাদের পরিবারে এই ধরনের রীতি চালু রয়েছে।এর আগে আমার মায়ের জন্মদিন একটি বৃদ্ধাশ্রমে পালিত হয়েছিল।আজকে আমার জন্মদিনও এই বাচ্চাদের নতুন জামা কাপড় দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে পালন করা হলো,আমি খুশি।
অন্যদিকে শিবমের বাবা সমাজ সেবী অনয় মাইতি বলেন,”আমাদের পরিবারের নিয়মই রয়েছে আমরা জন্মদিন মানুষ সেবার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি।তাই ছেলের জন্মদিনও তার ব্যাতিক্রম নয়।আমরা এই পুজোর মুখে দৌড়ে এসেছি গড়বেতার শেষ প্রান্ত ধাধিকাতে। এখানে কিছু ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নতুন জামা কাপড় দিয়ে এই ছেলের জন্মদিন পালন করলাম। আমরা চাইবো ছেলে বড় হোক মানুষ সেবার মধ্যে দিয়ে।