নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
কলকাতার বিজেপির বৈঠক থেকে ফেরা হলো না আর বিজেপির মন্ডল সভাপতির। অবশেষে দেহ উদ্ধার হল রেললাইনের ধারে। যদিও এই ঘটনায় এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনি বলেন রাজ্য প্রশাসন কেন এত দেরি করে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দিচ্ছে, তা নিয়েই আমাদের প্রশ্ন।
মূলত গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রদেশ কার্যকারিণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার সায়েন্সসিটিতে।আর সেখানেই বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন জেলার বিজেপি নেতৃত্বরা।আর সেইমতো পুরুলিয়া জেলা থেকে বিভিন্ন নেতাদের পাশাপাশি পুরুলিয়া শহরের দক্ষিণ মন্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ অধিকারীও পৌঁছে ছিলেন ওই বৈঠকে।যদিও কার্যকারিণী বৈঠক শেষে তারা রাতেই রওনা দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে হাওড়া -চকধরপুর এক্সপ্রেসে।তবে বৃহস্পতিবার সকালে বিজেপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা,পুরুলিয়াতে পৌঁছালেও বাড়ি ফেরেন নি দক্ষিণ মন্ডলের সভাপতি সত্যজিত অধিকারী।এর ফলে তাকে দেখতে না পেয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।এরপরেই শুরু হয় খোঁজাখুঁজি।রেলের জিআরপি এর মারফত অভিযোগও জানানো হয় বিজেপির তরফ থেকে।তারই মধ্যে বৃহস্পতিবার খড়্গপুর জিআরপির তরফ থেকে রাধামোহনপুরে রেল লাইনের ধার থেকে সত্যজিৎ অধিকারীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
যদিও এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।জিআরপি এই মৃতদেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।বৃহস্পতিবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে মেজিস্ট্রেটের তদন্তের পরে ভিডিওগ্ৰাফির মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ মেদিনীপুর ম্যাডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।যদিও এই মৃত্যুর কারণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই সামনে আসবে আসল রহস্য।