নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ভোরবেলা থেকে বিজেপি পার্টি অফিসে পুলিশের ডেরা।যদিও বেলা বাড়ার পর মহিলাদের মিছিল বেরোতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি।অবশেষে টেনে হিঁচড়ে মহিলা বিজেপি কার্যকর্তাদের থানায় নিয়ে গেল পুলিশ প্রশাসন।যা নিয়ে উত্তেজনা সংশ্লিষ্ট এলাকায়। যদিও এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেয় বিজেপি মহিলা নেতৃত্ব।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং অশান্তির কারণে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি।আর সেই ঘটনায় পশ্চিম মেদিনীপুরে অশান্তির বাতাবরণ।মূলত এদিন বিজেপির মেদিনীপুর জেলা পার্টি অফিসে ভোরবেলা থেকে পুরুষ মহিলা মিলিয়ে শয়ে শয়ে পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করে জেলা পুলিশ। কোনভাবে বিজেপির কোন কর্মী নেতৃত্ব সমর্থক পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে বনধের সমর্থনে যাতে রাস্তায় বেরোতে না পারে তার জন্যই ছিল তৎপরতা।রীতিমতো পুলিশের এই তৎপরতায় বিজেপি কিছুটা দমে যায়। এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়।কিন্তু চারদিক থেকে বিজেপির পার্টি অফিস ঘেরা থাকায় পেছন গলি দিয়ে বিজেপির মহিলারা আন্দোলনের মিছিল বার করলেই মহিলা পুলিশ এবং পুরুষ পুলিশ এসে তাদের পথ আটকায় রীতিমতো ধস্তাধস্তি চলে। তাদেরকে আটক করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। যদিও শেষ পর্যন্ত চ্যাংদোলা করে বিজেপি মহিলাদের থানায় নিয়ে যায় কোতোয়ালি পুলিশ প্রশাসন যা নিয়ে উত্তেজনা সংশ্লিষ্ট এলাকায়।যদিও এই ঘটনায় বিজেপি সূত্রে খবর এদিন প্রায় ১৫ জন বিজেপি মহিলা কর্মীকে আটক করে পুলিশ।আর তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।এই ঘটনায় কড়া বার্তা দেয় মহিলা বিজেপি নেতৃত্ব।এদিন মহিলা জেলা সম্পাদিকা শম্পা মন্ডল কে চ্যাংদোলা করে টানতে টানতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় কোতোয়ালি পুলিশ।
যদিও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরেই তারা আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় বলে এই পুলিশ প্রশাসনের বাড়িতেও মেয়ে বড় হচ্ছে বড় বলে তারা স্লোগান দেন।জেলা সম্পাদিকা শম্পা মন্ডল বলেন,” একটা আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে যদি পুলিশের এই সমস্যা হয় তাহলে গোটা রাজ্য জুড়ে কি ধরনের অত্যাচার চলছে তা বোঝা যায়।আমাদের এক দফা একটাই দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
যদিও এই ঘটনায় কঠোর প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি মুখপত্র অরূপ দাস।তিনি বলেন একটা ছাত্র আন্দোলনের নামে পুলিশের অত্যাচার চলেছে তারই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট।কিন্তু সেখানে যেভাবে মহিলা নেতৃত্বদের পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিতে গেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।এর দ্বারা বোঝা যায় বনধ আমাদের সফল।