নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
একসময় এমন ছিল নতুন বইয়ের গন্ধ পেতে হাজির হতাম বই দোকানে।উৎসব অনুষ্ঠান তো বটেই বিয়ে বাড়িতেও বই পেয়ে অন্যান্য উপহার কে সরিয়ে ফেলতো নব দম্পতি। আর সেই ভিভিআইপি বই উপহার পেয়ে খুশিতে ঝলমল করতো তাদের মুখ।কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল যুগে মোবাইলের দাপটে হারিয়েছে বই পড়ার নেশা।তবে এখনো কিছু ব্যবসায়ী ব্যবসা আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন মেদিনীপুরে।
মূলত শুধু উৎসব অনুষ্ঠানেও নয় আমাদেরও ছোটবেলা কেটেছে বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন ধরনের গল্পের বই,হাস্যকৌতুক বই,কমিকস,শুকতারা,চাঁদমামা,বিভিন্ন কুইজের বই এরই সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,বিদ্যাসাগর,বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে।আগেকারের মা মাসিমা,জেঠিমারা তাদের সন্তানদের ঘুম পাড়াতেন বই পড়ে অথবা কবিতা শুনিয়ে।কখনো কখনো ঠাকুমার ঝুলি উপাখ্যানের সেই ভূতের গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন নাতি-নাতনিদের।কিন্তু বর্তমান ডিজিটাল যুগে শুধু পড়াশুনা নয় এরই সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ও অনলাইনেই সারছে এখনকারের মানুষজন। দীর্ঘ দু’বছর মহামারীর সময়ে তাই হাতে-কলম ছেড়ে অনলাইন মোবাইলেই আসক্ত হয়েছে বর্তমান প্রজন্ম। তাই এখন মেদিনীপুর জেলা ও শহরের বই দোকানগুলি রীতিমতো শ্মশান হয়ে গেছে।শুধু সিলেবাসের বইটুকু কিনেই বই দোকানের পথ এড়িয়েছে বর্তমান পড়ুয়ারা।এক সময় যে বই দোকানে লাইন পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠতো এখন সেই সব বই দোকানে আসছে না কোন পড়ুয়ারা।ফলে রীতিমত বড় ব্যবসা হারিয়ে এখন কোনক্রমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে ব্যাবসায়ীরা,এরকমই অভিমত এই মেদিনীপুরের বই দোকানিদের।