Candidate Sujay Hazra:অনেক হয়েছে অভিনেতা,অভিনেত্রী!এবার সেনাপতি সুজয় কে বিধায়ক হিসেবে দেখতে চাই মেদিনীপুরের মানুষ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

দীর্ঘদিন দলের দায়িত্ব থাকার পর এবার মেদিনীপুরের বিধায়ক হিসেবে ভরসা উপর রাখল তৃণমূল সুপ্রিমো।মেদিনীপুর উপ-নির্বাচনে এবারের প্রার্থী তৃণমূল সেনাপতি সুজয় হাজরা।ভোট প্রচারে যেমন তিনি ঝড় তুলেছেন ঠিক তেমনি ভোটের জেতার ব্যাপারেও আশাবাদী।মেদিনীপুর মানুষের দাবি অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী হয়েছে এবার ঘরের ছেলেকে বিধায়ক হিসেবে দেখতে চায়।

মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার

একদিকে যখন একাধিক দেহরক্ষী ও নেতা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে দাপিয়ে বেড়িয়ে নজর কেড়েছে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তখন অন্যদিকে আরেক জেলা সভাপতির নম্র ভদ্র শিক্ষিত এবং মার্জিত ব্যবহারে দাগ ফেলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।তার চলাফেরা অত্যন্ত সাধারণ সহজ আর দশটা সাধারণ মানুষের মতনই।কোন দেহরক্ষী ছাড়াই স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে রাস্তায় দেখা হলে হেসে কথা বলেন,খোঁজখবর নেন।তিনি আর কেউ নন তৃণমূলের বর্তমান জেলা সভাপতি এবং বিধায়ক প্রার্থী সুজয় হাজরা।বছর 49 র এই সুজয় বাবুর পড়াশোনা M.Com, রাজনৈতিক জীবন একদম ছোটবেলা থেকে।1993 সালে মাত্র 17 বছর বয়স থেকে রাজনৈতিক জীবনের হাতে খড়ি।তিনি প্রাক্তন কাউন্সিলার গৌরী ঘোষ কে জেতানোর ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি।এরপর তিনি একের পর এক কাউন্সিলর বিধায়ক সাংসদকে জেতানোর ক্ষেত্রে প্রধান সেনাপতির ভূমিকায় দেখা গেছে।সিপিএমের রাজত্বে লাল সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে 2006 সালে যেমন তিনি বিধায়ককে যে যাতে সাহায্য করেছেন ঠিক তেমনি 2011 সালে পালাবদল করতে তার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।

সেই সময় মেদিনীপুরের বিধায়ক প্রয়াত মৃগেন্দ্রনাথ মাইতির সফর সঙ্গী ছিলেন এবং তাকে বিধায়ক হিসেবে জেতাতে লাল সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করে প্রধান সেনাপতির ভূমিকা নিয়েছিলেন।এরপর দ্বিতীয় টার্মে 2016 তে আবার দায়িত্ব পান তবে সেনাপতির।কখনোই তিনি লাইন লাইটে আসেননি।আলোর পেছনে অন্ধকারে থেকেই দলকে চাঙ্গা করেছেন নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং অসহায় দুঃস্থ মানুষের পাশে থেকে সাহায্য করেছেন।কখনো নিজেকে স্বঘোষিত কাউন্সিলার,MLA এমপি অথবা নেতা মন্ত্রী হতে চান নি।দীর্ঘ 14 বছর যুব সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালীন মেদিনীপুর থেকে এক এক করে দিনেন রায়,প্রদ্যুৎ ঘোষ,আশীষ চক্রবর্তী,মৃগেনে মাইতি সহ একাধিক ব্যক্তি বিধায়ক সাংসদ জেলা সভাপতি হয়েছে।দীর্ঘ ছয় বছর দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।2019 সালে অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় কে লোকসভা কেন্দ্রে জেতাতে ভূমিকা নিয়েছিলেন।ভূমিকা নিয়েছিলেন 2021 এ টলিউড অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর বিধানসভা থেকে জেতাতে মূল দায়িত্ব।কিন্তু জেতার পর জুনের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।কারণ তিনি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতর মতন স্বার্থপর অথবা অহংকারী ছিলেন না।সবাইকে নিয়ে একসাথে চলতে গিয়ে জুনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তার।

ইতিমধ্যে তিনি জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন, দায়িত্ব পেয়েছেন সিএবি র।মেদিনীপুর পৌরসভা নির্বাচনে নিজের স্ত্রীকে কাউন্সিলর ভোটে বিপুল ভোটে জয়ীও করেছেন।সম্প্রতি উড়িষ্যার বাহানাগাতে ঘটে যাওয়া বড় রেল দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে তদারকি করতে বড় তিনি ভূমিকা নেন তিনি।একের পর এক আহত এবং নিহত পরিবারের সাহায্য করে তাদের বাড়ি ফিরতে সহায়তা করেন। এরপর 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে প্রধান দাবিদার ছিলেন তিনি।কিন্তু সূত্র অনুযায়ী দলের কিছু মানুষের কলকাঠি নাড়াতে এবং নিন্দুকের নিন্দুকীপনায় তাকে প্রার্থী করেনি দল।তবে তাকে আশ্বাস দিয়েছিল যে বাই ইলেকশনে তাকে প্রার্থী করবে।তবে শর্ত একটাই,নেত্রী স্নেহধন্য প্রাক্তন বিধায়িকা জুন মালিয়ার হয়ে লোকসভা ভোটে নেতৃত্ব দিতে হবে তাকে।তবে দলকে দেওয়া কথা তিনি কোনোভাবেই ফেলতে পারেননি।বিজেপির গড় কেশিয়াড়ি,নারায়ণগড়,খড়গপুর সহ মেদিনীপুরেও জুনকে জেতাতে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।এক কথায় বলা যায় দিলীপ ঘোষের মতো দুঁদে দাপুটে বিজেপি নেতার জেতা সিট লড়াকু প্রার্থী আগ্নিমিত্রা কে হারিয়ে 24 এর লোকসভা নির্বাচনে প্রায়ই 24 হাজার ভোটে জুন মালিয়া কে জিতিয়ে আনেন।

বিজেপির গড় হিসেবে খড়গপুরেই বিজেপির ভোট কমে যায়।নৈপথ্যে সেই সুজয় হাজরা।সেই সময় প্রকাশ্যে খড়গপুরে কিমির পর কিমি নেত্রীর সঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় সুজয় হাজরাকে এবং পেছন পড়ে গেলেই খোঁজ নেত্রী স্বয়ং নিজে।তার চাষ করা জমিতে ফসল তুলে নিয়ে যান অভিনেত্রী জুন মালিয়া।তবে তারপরও তার প্রতি সহানুভূতি সম্মান প্রাপ্যটুকু জোটেনি।বরং নব্য নির্বাচিত সাংসদ দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলেছেন বলেই শোনা যায় কানাঘুষো।তবে উপনির্বাচনে এবার সেনাপতিকে বেছে নিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তাতেই সরগোল পড়ে গেছে জেলায়।সুজয় হাজরা প্রার্থী হওয়াতে খুশি গোটা মেদিনীপুর বিধানসভা সহ মেদিনীপুরের পৌরসভা এলাকাগুলি।প্রার্থী নাম ঘোষণা হতেই মিষ্টিমুখ ও পটকা ফাটিয়ে একপ্রকার আনন্দ মেতে উঠে তারা।নাম ঘোষনা হওয়াতে খুশি মেদিনীপুরের ছোট বড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ বড় ব্যবসায়ী নিম্ন মধ্যবিত্ত সহ উচ্চবিত্ত মানুষজন।তবে প্রচারে ও খামতি রাখতে চাইছে না এই সেনাপতি সুজয়।প্রতিদিন চষে বেড়াচ্ছেন ওয়ার্ড ভিত্তিক জনসংযোগে।

যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা বলেন,” তৃণমূল সুপ্রিমো এবং সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দায়িত্ব দিয়েছে এই মেদিনীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে।তাই জীবন দিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করবো।সব দিনই মানুষের পাশে থেকেছি।এবার বিধায়ক হিসেবে পাশে থাকাবো।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in