পড়ার খরচের সঙ্গে সংসার চালাতে কার্টুন চরিত্র সঞ্জুর!কটুক্তি এড়িয়ে অন্যদের দিশা কলেজ পড়ুয়ায়

Share

এক অন্য লড়াইয়ের কাহিনী। মেদিনীপুর সদরের খয়রুল্লা চকে মাকে নিয়ে বসবাস করেন বছর কুড়ির সঞ্জু ভালো নাম সুপ্রভাত কর। কাহিনী সূত্রে জানা যায় বাবা খুব ছোটবেলায় ছেড়ে গিয়েছে মাকে এবং তাকে ছেড়ে দিয়ে। মায়ের দুরারোগ্য ব্যাধি।এই অবস্থায় রাজু যখন ক্লাস এইটে পড়ে তখন থেকেই পড়ার খরচ জোগাতেই পাড়ার এক কাকুর সঙ্গে চলে যায় বিয়ে বাড়িতে কার্টুন সাজতে। প্রথমদিনে অনেক রাত্রিতে ফিরে আসায় বকুনি খেতে হয় বাড়িতে। কিন্তু তার কপালে জুটে ১৫০ টাকা। এরপরও রাজু থেমে থাকেনি। মায়ের ওষুধ কিনতে এবং সংসার চালাতে সঙ্গে পড়া খরচ জোগাতে কার্টুনকেই তার পেশা হিসেবে বেছে নেয়।

পড়াশোনা করে সন্ধ্যে হলেই বেরিয়ে যায় বিয়ে বাড়ি,অনুষ্ঠান বাড়ি সহ বিভিন্ন র‍্যালি বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে এই কার্টুন সাজতে। কখন মিকি মাউস তো কখনো স্পাইডারম্যান।কখনো বা মুখোশ পরে নয়া লালির রূপে অবতীর্ণ হয়েছে এই সঞ্জু।

এই তীব্র গরমে কার্টুনের মোটা পোশাক পরে সে মানুষকে মনোরঞ্জন দিয়েছে।এভাবেই সঞ্জু নিজে যেমন দাঁড়িয়েছে এরই সঙ্গে এলাকার গরিব নিম্ন এবং দুস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের যারা সংসারে খরচ জোগাতে হিমশিম খেয়ে যায় তাদের নিয়ে একটি ১৮ জনের দল গঠন করেছে।এছাড়াও এলাকার যারা মাদকাসক্ত,ছোটবেলায় মোবাইল গেমিং এর দাপটে হারিয়ে যাদের শৈশব হারিয়েছে সেই সব পড়ুয়াদের দিয়েছে নতুন দিশা।

এদিন রাজু এক সাক্ষাৎকারে জানায় ইচ্ছে নয়,এরই সঙ্গে পাড়ার মাদকাসক্ত ও কিশোর এবং যুবকদের স্বনির্ভর করা।বর্তমানে সংসার টানতে টানতে কখন যে এই কাজে নিজেকে গড়ে ফেলেছি তা বুঝে উঠতে পারিনি।তবে এখন উদ্দেশ্যই হল পাড়ার উন্নতি এবং বেকারদের স্বনির্ভর করা।পাড়ার লোক কটুক্তি করে কিন্তু তাতে কান দিয় না।কোনও কাজই ছোট নয়। যদিও জীবনের স্বপ্ন একবার মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করা।


Share

dnews.in