নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব মেদিনীপুর :
বর্তমান প্রজন্মের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ কাজের ক্ষেত্রে অন্যতম অনুপ্রেরণার অপর নাম বিশ্ব কলাকেন্দ্র।যারা বছর ভর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৮ থেকে ৮০ সকলের মনে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে।সম্প্রতি তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের সর্বাধিনায়ক সতীশ চন্দ্র সামন্তর স্মরণে ‘সর্বাধিনায়ক ও চারুকলা উৎসব” অনুষ্ঠিত হলো মহিষাদলে।
এদিনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতাগুলোতে পশ্চিম মেদিনীপুর,পূর্ব মেদিনীপুর,কোলকাতা,হাওড়া থেকে কয়েকশো প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।বেশ কয়েকশো প্রতিযোগীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় সারা বাংলা চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।আন্তঃবিদ্যালয় কুইজে ৯০ টির বেশি বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে স্ট্রিট আলপনা প্রতিযোগিতা হয় মহিষাদল বিডিও অফিসের সামনে।যা ছিল সত্যিই নজরকাড়া।এরই সঙ্গে গহনা বড়ি প্রতিযোগিতা ও পট চিত্রের প্রদর্শনী হয়।উপস্থিত পট চিত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন সায়রা চিত্রকর।এইদিন ২০০ এর বেশি অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র প্রদান করা হয় এদিনের অনুষ্ঠান থেকে।উপস্থিত ছিলেন জেলার কয়েকশো শিল্পী।উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী,মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী,মহিষাদল ভারত সেবাশ্রমের ব্রহ্মচারী গৌতম মহারাজ সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
সংস্থার সম্পাদক বিশ্বনাথ গোস্বামী জানান, ‘বর্তমান সমাজকে সাংস্কৃতিক মনস্ক যদি করতেই হয় তাহলে অতি অবশ্যই বর্তমান প্রজন্মকে সংস্কৃতিমনস্ক করতে হবে।সেই বীজ আমরা রোপন করার চেষ্টা করছি।আপনাদের সবার ভালোবাসা আশীর্বাদ পাথেয় করে আজ ১২ বছরে পদার্পন করলো বিশ্ব কলাকেন্দ্র।এই ধরনের কর্মযজ্ঞে জেলার প্রতিটি প্রান্তের মানুষ ভীষণ খুশি ও আনন্দিত।’