নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
একটি দুটি নয় একসঙ্গে প্রায় ছটি শিশু পাড়ি দিল ভিন্ন ভিন্ন জেলায় তাও আবার পশ্চিম মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বালিকা হোম থেকে। এই দিন এই শিশুদের তুলে দিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সরকারের আধিকারিক সহ চাইল প্রোটেকশনের আধিকারিকরা।দেড় থেকে ৯ বছরের মধ্যে এই শিশু গুলি যাচ্ছে হুগলি,হাওড়া, কলকাতা,নদীয়া,নর্থ ২৪ পরগনা এবং ছত্তিশগড়।
দশ দিনের মাথায় আবারও দত্তক দেওয়া হল একসাথে ৬টি শিশু।এই প্রথম একসাথে ৬টি শিশুর দত্তক দিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা চাইল্ড প্রটেকশন ইউনিট এর অ্যাডপশন কমিটি।এর মধ্যে ৫টি শিশু রাজ্যের মধ্যে এবং একটি শিশু ছত্তিশগড় যাচ্ছে। উল্লেখ্য গত ১৫ জানুয়ারি সাড়ে তিন বছরের পুত্র সন্তানকে দত্তক নিয়েছিল ইতালির এক দম্পতি।২১ ফেব্রুয়ারি বেলজিয়ামের এক দম্পতি দুই শিশু কন্যাকে দত্তক নেন।শনিবার জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তরে অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) কেম্পা হুন্নাইয়া তিনি বলেন, “২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৫২টি শিশুকে দত্তক দেওয়া হয়েছে।এখনও পর্যন্ত ৩০টি শিশু রয়েছে সরকারি হোমে।উদ্ধার হওয়া শিশুদের হোমে রাখার পর পোর্টালে আপলোড করা হয়।সেই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন দম্পতিরা।নিয়ম অনুযায়ী দত্তক দেওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, শুধু দত্তক দেওয়া নয়, “সেই সব শিশুরা তারপরেও কেমন রয়েছে তার খোঁজ খবর রাখা হয়।”জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে,এখনও পর্যন্ত ৬টি শিশু বিদেশে গিয়েছে।
এদিন যাদের দত্তক দেওয়া হয়েছে তাদের অভিভাবকেরা জানান শিশুদের পড়াশুনা করানো ছাড়াও তাদের উপযুক্ত করে তোলায় লক্ষ্য। দেখভালে কোন খামতি থাকবে না।এদিনের ৬টি শিশুর মধ্যে ৪টি কন্যা সন্তান রয়েছে।হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, নদীয়া, নর্থ ২৪ পরগনা এবং ছত্তিশগড় দত্তক যাচ্ছে এই শিশু।৭ বছর থেকে ৯ বছরের মধ্যে ৩টি শিশু রয়েছে, দেড় বছর থেকে আড়াই বছরের মধ্যে তিনটি শিশু রয়েছে।এদিন যারা দত্তক নিয়েছেন তার মধ্যে একজন সিঙ্গেল মাদার রয়েছেন।
এ বিষয়ে দত্তক নেওয়া তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ও রানু বন্দোপাধ্যায় বলেন দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রায় ২০১৯ সালের সরকারি নিয়ম মেনে অনলাইন পোর্টালে আবেদন করি।সেই প্রসেস এতদিন ধরে চলছিল। অবশেষে আমরা শিশুগুলো পেয়েছি।আমরা তাদের সযত্নে লালন পালন করব।যেহেতু আমরা মেট্রো তে চাকরি করি তাই তাদের ভবিষ্যতে যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় সে বিষয়ে সর্বদা খেয়াল রাখব।