Christmas Day : বড়দিনের প্রাক্কালে সাজছে চার্চ!চলছে যীশুর জন্মের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

হাতে মাত্র কটা দিন, এরপরই খ্রিস্টানদের বড়দিনের অনুষ্ঠানে মেতে উঠবে আপামর খ্রিস্টান ধর্মালম্বী মানুষজন।এখন চলছে চার্চে, চার্চে জোর প্রস্তুতি।মেদিনীপুর শহরে সেখপুরা চার্চে ঝাড় পৌঁছ এর পাশাপাশি নাচ গানের প্রস্তুতি। এরপরই ক্যারলের মধ্য দিয়ে যীশু উপাসনা করবে এই চার্চের মানুষজন। তবে বিশ্বে যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থায় যীশুর মতন কাউকে প্রয়োজন ছিল বলেই দাবি ফাদার ভিনসেন্ট লোবোর।

গোটা বিশ্বে চলছে যুদ্ধের প্রস্তুতি।কোথাও রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের তো কোথাও ইসরাইলের সঙ্গে প্যালেস্টাইনের ।ইতিমধ্যে সেই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা নিয়ে সেজে উঠছে চার্চ।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সামনেই বড়দিন আর সেই বড়দিনে যীশু খ্রীষ্টর স্মরণে হয়ে মেতে উঠবে আপামর খ্রিস্টান মানুষ সহ সকল ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।তাই এখন চলছে,জেলা শহর চার্চ গুলোর জোর প্রস্তুতি। বড়দিনের অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে নানারকম অনুষ্ঠান এক প্রকার সেরে ফেলছেন এই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষজন। কোথাও চলছে গানের প্রস্তুতি তো কোথাও আবার ঝাড়পৌঁছ সহ জোর তৎপরতা।মেদিনীপুর জেলা তথা শহরের একমাত্র খ্রিস্টানদের ক্যাথলিকদের চার্চ সেখপুরাতে।এখন তারই যুদ্ধকালীন তৎপরতা।উল্লেখ্য এই চার্চ প্রায় দেড় শতাধিক বছরের পুরানো।এই চার্চ ঘিরে বড়দিন কে কেন্দ্র করে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে প্রতিবছর।আগামী ২৫ সে ডিসেম্বরের আগের দিন ২৪ শে ডিসেম্বর রাত্রি বারোটার পর শুরু হয় বিশেষ অনুষ্ঠান ক্যারল।

সেই ক্যারলের মধ্য দিয়ে যীশুকে আহ্বান করেন এই খ্রিস্টান ধর্মালম্বী মানুষজন।এরপর ২৫ তারিখে বড়দিনের বিরাট অনুষ্ঠান।তারপর দীর্ঘ সাত দিনব্যাপী চলে চার্চ স্কুলের মাঠে বড়দিনের মেলা।যে মেলায় নাগরদোলা,ডিসকো কার,মিকি মাউস,ফুচকা,আইসক্রিম,ঘুগনির স্টল সহ বাড়ি সাজাবার আসবাবপত্রের স্টল নিয়ে হাজির হন শতাধিক ব্যবসাদার মানুষজন।মেলায় সেই সব জিনিস কিনতে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ।এই বছর ৪৩ বছরে পড়লো এই মেলা।আর এই কদিন চার্চগুলো তো চলে যীশুর উপাসনা।এই চার্চ সাজিয়ে রাখা হয়েছে যীশুর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনাদর্শী এবং যীশু কি চেয়েছিলেন এই জগতের জন্য তাও বারে বারে মনে করিয়ে দেন খ্রিস্টান মানুষজন।

এইদিন চার্চের প্রধান পাল পুরোহিত ভিনসেন্ট লোবো বলেন এই যুদ্ধ পরিস্থিতির যুগে এখন যিশুর মতো একজন কাউকে দরকার ছিল।যে নিজের জীবন রিক্ত করে,নিঃস্ব করে শান্তি আনবে এই জগতে। তিনিও সমাজ নিয়ে এও বলেন সমাজের মধ্যে ভেদাভেদ দূর করতে যীশুর প্রয়োজন কারণ।আমরা মানুষ আমরা সবাই এক ঈশ্বরেরই সন্তান।হিন্দু, মুসলিম,জৈন,খ্রিস্টান শুদ্র,অস্পৃশ্য বলে সমাজে কেউ নেই।সবাই আমরা ভাই বোন,সবাই আমরা একে অপরের ভাগীদার। আমাদের সবাইকেই একসঙ্গে আনন্দ উপভোগ করতে হবে সঙ্গে দুঃখ ভাগ বাটোয়ারা করে নিতে হবে।পরম ঈশ্বর যীশুই তাই চাইতেন।আমরা চাই সমাজের শান্তি আসুক,আসুক ফিরে যীশুর মতন কেউ।


Share

dnews.in