নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এইদিন মেদিনীপুরে এক হোটেলে ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তথা অল ইন্ডিয়া নেশনালাইস ব্যাংক অফিসার্স ফেডারেশন এর সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস।সভা উদ্বোধনের আগে আদিবাসী অধ্যুসিত বামুন ডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে স্কুল ব্যাগ ও খাতা রং তুলে দিয়ে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন সমাজের এই পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর বাচ্চাদের পাশে দাঁড়াতে ও তাদের জীবনে একটু আনন্দের রং লাগাতে তাদের এই প্রচেষ্টা।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল এর প্রধান শিক্ষিকা অহনা চৌধুরী এবং পঞ্চায়েত প্রধান মাননীয়া হেমব্রম।এরপর শহরের অরবিট হোটেলে এক ক্লাস্টার মিটিং এ এর আয়োজন করা হয়।সেই বৈঠকে ১০০ এর বেশি অফিসারদের মধ্যে সংগঠনের প্রধান বলেন”কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিনিয়ত ব্যাংক বেসরকারিকরণের হুমকি দিচ্ছে।যা শুধুমাত্র সরকারি ব্যাংক পরিকাঠামোর উপর নয়,সমগ্র জাতীয় অর্থনীতির উপর বড় আঘাত”।বিভিন্ন ধরনের কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প এমনকি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জন কল্যাণ মূলক প্রকল্প যথা লক্ষ্মী ভান্ডার এই জাতিয়কৃত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমেই বাস্তবায়িত হয় এবং আজকের দিনেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে এই সরকারি ব্যাংক গুলি ই একমাত্র ভরসা।তাই গ্রামাঞ্চলের এই সরকারি ব্যাংক এর উপস্থিতি এর কথা মাথায় রেখে গত বছর অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দেন যে কিষান ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যায় কৃষক দের অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।
কিন্তু অন্য দিকে নীতি আয়োগ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা মন্ডলী ব্যাংক বেসরকারি করণের মন্ত্র জপ করে চলেছেন।আর এই খানেই সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে,”যে গত কয়েক অর্থবর্ষ জুড়ে ক্রমাগত লাভ করা সত্ত্বেও কেন সরকারের কাছে দেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড এই সরকারি ব্যাংক এর অবসান এর চেস্টা করা হচ্ছে”। মাঝে মাঝে ব্যাংক বেসরকারিকরণের বেড়াল ঝুলি থেকে বার করা হচ্ছে সেই নিয়ে আমাদের ক্রমাগত প্রতিবাদ এর রাস্তা বেছে নিতে হবে এবং জাতীয় সম্পদ বিনাশের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে।সংগঠনের পক্ষ থেকে কর্মী সংখ্যা ক্রমে কমে আসার বিষয়ে চিন্তা প্রকাশ করা হয়।সঙ্গে সংগঠন যে এই বিষয় নিয়ে বরাবর ই বলে আসছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয় তারই ফলস্বরূপ অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি ব্যাংক এর প্রধানদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।কিন্তু যে পরিসংখ্যান মন্ত্রক এর তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবের তুলনায় অনেক কম এবং যে হারে কর্মীরা অবসরপ্রাপ্ত হচ্ছেন সেই তুলনায় নতুন নিয়োগ খুবই কম।
কর্মী সংকোচের এই পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যাংক এ জোর করে গ্রাহক সেবা প্রদানের বিঘ্ন ঘটিয়ে পরিকাঠামোগত ভাবে সংকট নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চলছে।এই দুরভিসন্ধির বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়াই এ এই ব্যাংকের সকল কর্মী দের প্রতি আহ্বান করা হয় যে তারা যেন তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচেষ্টা লাগিয়ে দেন অর্থবর্ষের এই শেষ কোয়ার্টার এ যাতে গত বছরের মতন এবারেও ব্যাংক পারফরম্যান্স লিংকড ইনসেনটিভ পান।সভায় পাঁচ দিন সপ্তাহ ব্যাংকিং এর প্রসঙ্গ ও ওঠে এবং সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কেন এর বাস্তবায়ন হচ্ছে না সেই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন নেতৃত্ব। এই দিন উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া ন্যাশনালিস্ট ব্যাঙ্ক অফিশার্স ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি সঞ্জয় দাস,সভাপতি অভিজিৎ মন্ডল,রিসভ হালদার,দেবাশীষ মন্ডল,অমিত দত্ত,তন্ময় দাস সহ অন্যান্যরা।