নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
টানা লড়াইয়ের পর অবশেষে জয় পেল মেদিনীপুর কলেজ কর্তৃপক্ষ।মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠ কার দখলে থাকবে তা নিয়েছিল টানাপোড়েন।যদিও কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ।সেই ঘটনায় অবশেষে বিচারক স্বস্তির খবর শোনালেন।এরই পাশাপাশি কলেজ মাঠের দায়িত্ব তিনি তুলে দিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে এবং বলে দিলেন এই মাঠে শুধু খেলাই হবে।
মেদিনীপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী মাঠ হল এই কলেজ কলিজিয়েট মাঠ।যে মাঠটির নামকরণই হয়েছিল স্কুল এবং কলেজের নামে।এই মাঠে সরকারি অনুষ্ঠান মেলা বা কোন ধরনের ভিভিআইপি সভা সমিতির জন্য পারমিশন নিতে হতো কলেজ কলিজিয়েটের।কিন্তু মাঝখানে ২০২০ সালে হঠাৎই এই মাঠের মালিকানা দাবি করে প্রশাসন। রীতিমতো তারা কলেজ মাঠের গেটে তালা লাগিয়ে মেলা সভার অনুমতি দেওয়া শুরু করে।এই ঘটনায় কোর্টের দ্বারস্থ হয় কলেজ কলিজিয়েট কর্তৃপক্ষ।অবশেষে সেই ঘটনায় বছর দুই তিনেক লড়ার পর স্বস্তি এলো কোর্টের রায়।গত ২৭ সে মার্চ মেদিনীপুরের কোর্ট রায় দিয়েছে এই কলেজিয়েটে মাঠের সত্ত্ব থাকবে স্কুল এবং কলেজের কাছে।যে কেউ এই মাঠে কোন ধরনের অনুষ্ঠান বা প্রোগ্রাম করতে গেলে অনুমতি নিতে হবে কলেজ ও কলিজিয়েটের আর তাতেই স্বস্তি ছায়া দেখা দিয়েছে শহরে।
কারণ এই ঐতিহ্যবাহী মাঠে প্রতিদিন ভোরবেলা থেকে রাত অব্দি বহু মানুষ খেলাধুলা,ঘুরতে,বাচ্চাদের খেলানো এবং মনোরম প্রকৃতিতে হাঁটতে দেখা যায়।কিন্তু দিনের পর দিন এই মাঠে এক ও একাধিক সভা সমিতি মিটিং মিছিল হওয়ার ফলে গর্ত করে ডোবা তৈরি হয়ে যাওয়ায় সেই মাঠে আসতে বিরক্তি প্রকাশ করে শহরের মানুষজন।তারা ক্ষোভ ও প্রকাশ করে।তবে অবশেষে স্বস্তির ছায়া নেমে এলো আর এ ঘটনায় মেদিনীপুর কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্য রঞ্জন ঘোষ বলেন মাঝখানে কিছু সমস্যা হয়েছিল প্রশাসনের সঙ্গে।শেষ পর্যন্ত আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম এবং মহামান্য আদালত রায় দিয়েছে এই মাঠ আমাদের।এখানে খেলা ছাড়াও অন্য কিছুর অনুমতি আমরা দেব না।
এরই পাশাপাশি আইনজীবী কুশল মিশ্র বলেন মহামান্য আদালত কয়েকটি পয়েন্ট এর মাধ্যমে উল্লেখ করে দিয়েছে এই মাঠ কলেজ কর্তৃপক্ষের।যেখানে প্রশাসনের সঙ্গে থেকেই কলেজ কাজ করছে এবং প্রশাসন এখানে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে।তাই আদালত রায় দিয়েছে এখানে শুধু খেলায় হবে এবং তা কলেজ কলিজিয়েটের অনুমতি অনুসারে।