নিজস্ব প্রতিনিধি,ডেবরা:
ঘূর্নিঝড় দানার প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি,এলাকা জলমগ্ন।মহিলাকে টিউবে চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি ও আশা কর্মীরা,খোঁজ নিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেন বিধায়ক ও দুই দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ।ডেবরার বাড়াগড় এলাকার ঘটনা।যদিও বিধায়ক এর বক্তব্য উনি বাপের বাড়ি যাওয়ার বাহানায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন।তবে তিনি বকলমে স্বীকার করেন নেন যে রাস্তাঘাট জলমগ্ন।
এবার এক প্রসূতি মহিলাকে টিউবে করে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো হাসপাতালে আর যা নিয়ে সোরগোল হয়েছে জেলায়। ঘটনাচক্রে জানা যায় ঘূর্ণিঝড় দানার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ডেবরা ৫/১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড়াগড় এলাকায় আজ থেকে ৯ দিন আগে সিজার করে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে লক্ষী লায়েক।আর তারপর এই দানার ফলে এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। এদিন হাসপাতালে তার এপ্রস্থ দেখভালের জন্য টিউবে করে সেই মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও আশাকর্মীরা।আর এই ঘটনায় সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মাধ্যমে।আর এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন ডেবরা বিধানসভার বিধায়ক ডঃ হুমায়ুন কবীর।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নারী শিশু কল্যান দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তি টুডু,ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়া সহ অনান্যরা।তিনি নিজে সেই জলে নেমে দেখেন এবং লক্ষী লায়েকের স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেন।
এ বিষয়ে লক্ষ্মী লায়েকের স্বামী প্রসেনজিৎ লায়েক বলেন,”গত কয়েকদিন আগেই স্ত্রীর বাচ্চা হয়েছে। যেহেতু তার শরীরে কাটা রয়েছে তাই তাকে দেখানোর জন্য আশা কর্মীরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়।যেহেতু রাস্তাঘাটে জল জমে থাকায় ওই জল থেকে বাঁচতে তাকে টিউবের ভেলা করে নিয়ে গেছে হাসপাতালে। হাসপাতাল চেয়েছিল তাকে ভর্তি রাখতে কিন্তু আমরাই তাকে ছুটি করার আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে উল্টো সুর গেয়েছেন এলাকার বিধায়ক। ডেবরা বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন,”অন্তসত্তা বলে যেই ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে তা আদতে নয়।জল অল্প আছে।আর ৯ দিন আগেই লক্ষী লায়েকের কন্যা সন্তান হয়েছে এবং সে হাসপাতালেও থাকবে না,লিখিত দিয়ে বাপের বাড়ী যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে।