নিজস্ব প্রতিনিধি,বালিচক:
এতদিন পর অবশেষে মুখোমুখি হলেন দুই অভিনেতা।তবে এবার আর অসৌজন্যের রাজনীতির নয় বরং সৌজন্যের বার্তাই দিলেন দুই অভিনেতা অর্থাৎ বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূলের দীপক অধিকারী ওরফে দেব।তবে তার কারণ যদিও রেল গেট।দুজন দুপাশ থেকেই হাত নেড়ে বার্তা দিলেন।দেব শরীরের খেয়াল রাখার ও পরামর্শ দিলেন হিরনকে।
দুজনকে থামিয়ে দিল রেল এবং পরস্পর পরস্পরকে সৌজন্যের রাজনীতির জায়গা বানিয়ে দিল।এরকমই ঘটনা ডেবরার বালিচকে।এতদিন ধরে প্রচার করছেন দুই প্রার্থী অথচ মুখোমুখি দেখা হচ্ছে না কোন ভাবেই।অবশেষে শুভ নববর্ষে ১লা বৈশাখে মুখোমুখি হলেন দুই প্রার্থী তাও আবার রেলগেটের সামনে।তবে এবারে হিরণকে কটাক্ষ করলেন না,দিলেন হাত নেড়ে সৌজন্যের বার্তা।এ রকমই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বালিচক এর রেলগেটে।ঘটনা প্রসঙ্গে বলা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যে দুটি লোকসভা রয়েছে তার মধ্যে এক ও অন্যতম লোকসভা হলো ঘাটাল লোকসভা।যেই লোকসভায় এবারে দুই অভিনেতার লড়াই চলছে।গতবারে এখানে টলিউডের ইয়াং অভিনেতা দেবের সঙ্গে লড়াই হয়েছিল বিজেপি প্রার্থী IPS অফিসার ভারতী ঘোষের।এবারে যদিও ভারতী ঘোষের বদলে এই জায়গায় প্রার্থী করা হয়েছে টলিউডের আরেক অভিনেতা হিরন চট্টোপাধ্যায় কে।
দেবের এক ও একাধিক সিনেমা সুপারহিট হলেও হিরন চট্টোপাধ্যায়ের সিনেমা সেভাবে সুপার ডুপার হিট হয়নি।তবে প্রার্থী হয়ে দুজনের প্রচার কিন্তু জোর কদমে।প্রার্থী ঘোষণার হওয়ার পর থেকে দেব যেমন এক ও একাধিক জনসংযোগ ও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন ঘাটাল লোকসভার বিভিন্ন বিধানসভাতে ঠিক সেভাবেই বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও ঘাটাল লোকসভার আনাচে-কানাচে মন্দিরে ঢুকে প্রতিদিনই জনসংযোগ সারছেন।এরই সঙ্গে কার্যকর্তাদের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েও পরিচিতি বাড়াচ্ছেন।তবে প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান ঘাটাল তৃণমূলের প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ এনে কটাক্ষ করে চলেছেন হিরন চট্টোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকেই।কখনো তিনি ঘাটালের সাংসদকে বলছেন গরু চোর,কখনো বলছেন মিথ্যুক সাংসদ,কখনো বা পরিযায়ী পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন এই অভিনেতা দেব কে।
অন্যদিকে দেব সৌজন্যের রাজনীতি করে চলেছে তিনি সচরাচর হিরনের বিরুদ্ধে কখনই কটাক্ষ করেননি।বরং বারবার বার্তা দিচ্ছেন যে রাজনীতিতে সৌজন্য,ভদ্রতা প্রয়োজন।মাঝে মাঝে একটু হাস্যকৌতুক সুরে বলছেন রাজনীতির ক্ষেত্রে হিরনকে পড়াশোনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। যদিও তাতেও দমে যাননি হিরন চট্টোপাধ্যায়।তিনি তারপরেও কটাক্ষ করেই চলছেন এবং দেবের যাবতীয় কাজের নিরিখে বক্তব্য রেখে চলেছেন। এদিন নববর্ষের দিন ঝাড়েশ্বর মন্দিরে পূজো দিয়েও পরিযায়ী শ্রমিকের সঙ্গে তিনি ঘাটালের সাংসদকে তুলনা করেছেন।যদিও দীর্ঘ এত দিনের প্রচারে মুখোমুখি হয়নি কেউই।হাতে হাত মিলিয়ে সৌজন্যের বার্তা দেননি কিন্তু বছরের প্রথম দিনেই মুখোমুখি হয়ে পড়লেন দুজনে।যদিও তার কারণ রেলগেট।এদিন সন্ধ্যাবেলায় যখন বালিচকে রেলগেটের কাছে দুজন দুদিকে পেরোচ্ছিলেন সেই সময় রেল গেটের দুপাশে দুজন আটকে যান মিনিট তিনেকের জন্য।
যদিও এক্ষেত্রে হিরন অসৌজন্যের রাজনীতি দেখান নি বরং দেব হিরন পরস্পর পরস্পরকে দেখে হাত নেড়েছেন এবং দেব জিজ্ঞেস করেছেন হিরনের শরীর সম্পর্কেও।দেব এও বলেছেন হিরণকে বললাম শরীরের খেয়াল রাখতে।