নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
মেদিনীপুরে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এবার শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা সন্দীপ ঘোষ এবং মমতা ব্যানার্জি নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতার দিলীপ ঘোষ।শেষে তিনি বললেন শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো পবিত্র জায়গায় যদি এই ধরনের অপবিত্র ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে ভালো সিটিজেন ডাক্তার বেরিয়ে আসবে এটা আমরা কিভাবে আশা করব। মূলত এই দিন বিজেপির থানা ঘেরাও অভিযানে অংশ নিতে এসেছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।যদিও শেষ পর্যন্ত থানা ঘেরাও না করে বরং বিক্ষোভ মিছিল করেই ফিরে গেছে বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা।
মেদিনীপুরে এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্ত সেইসঙ্গে ডিআই এর নির্দেশিকা নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।এদিন প্রথমে তিনি জেলায় ডিআইও অফিসের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন,”ডি আই এর অধিকার কি আছে এই নির্দেশিকা জারি করার?এরই সঙ্গে তিনি মমতা ব্যানার্জীর চ্যালা হিসেবেও কটাক্ষ করেন”।তিনি আগের একটি ঘটনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন এর আগে কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত নিয়ে ফরমান জারি করেছিল যা কেউ মানেনি।এখানেও তিনি সরকারি আধিকারিকদের দিয়ে এই ধরনের ফরমান জারি করে তাদের ইমেজ খারাপ করছেন।মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।আজকে তিনি ডাক্তারদেরও আটকাতে পারেননি শিক্ষক পড়ুয়াদের ও আটকাতে পারবেন না।এবার ডাক্তারদের উপর চাপ সৃষ্টি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষের সোজা সাপ্টা উত্তর ডাক্তারদেরও আন্দোলন করার অধিকার আছে।যারা অন্যের চিকিৎসা দেবে তারা যদি ভয়ে ভোট আসে নিরাপত্তা না পায় তবে তারা অন্যের চিকিৎসা করবে বা কেন।তিনি বলেন “সিকিউরিটি ফাস্ট ট্রিটমেন্ট মাস্ট”যা দুটোই করতে হবে ডাক্তারদের।এরপর সন্দীপ ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন,”পুলিশ কেউ বাঁচাতে পারবেন না,ডাক্তার প্রিন্সিপালকে ও বাঁচাতে পারবেন না।
মমতা ব্যানার্জি নিয়ে তিনি বলেন মমতা ব্যানার্জি এই নিয়ে অনেকবার রাস্তায় হেঁটেছেন,এরকম ধরনের ঘটনায় পারও পেয়ে গেছেন কিন্তু এবার আর তাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।একাধিক কারণে গ্রাম ও শহরের মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ আজকে দেখা গেছে রাস্তায়,তাই উকিল,ডাক্তার,সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে নেমেছে।যার জন্যই মমতা ব্যানার্জির পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তবে এই ধরনের নৃশংস ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে দিলিপ ঘোষ বলেন মমতা ব্যানার্জি এই ধরনের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ঘটান এবং হলেই তিনি ফাস্ট ট্রাক কোর্টের আবেদন করেন। আজ থেকে ১০ বছর পিছিয়ে গিয়ে দেখুন মমতা ব্যানার্জি সেই ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টেই আবেদন করার কথা বলেছেন। উনি কোনোভাবেই চান না এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে রাজ্যে বরং উনি চান এ ধরনের ঘটনা ঘটুক এই রাজ্যে বারংবার। আর কোর্টের ফাইল বাড়ুক জাস্টিসের আবেদন হোক।কোটি কোটি কেস জমে আছে কোর্টে যার জন্য বিচার বিলম্বিত হয়।মমতা ব্যানার্জি পুলিশ মন্ত্রী হয়েও তিনি চান এ ধরনের অপরাধ বাড়ুক এই রাজ্যে।
এরপর সন্দীপ ঘোষ বাদ দেওয়ার বদলে পদোন্নতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ কে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন,”সন্দীপ ঘোষ নিশ্চয়ই কোনো কারো স্বার্থে এই কাজ করেছেন, সুবিধা দিয়েছেন এবং টাকা দিয়েছেন তাই তার পদোন্নতি ঘটেছে।এরই পাশাপাশি তিনি বলেন বিভিন্ন অডিও ভিডিও হয়েছে যাতে বোঝা যাচ্ছে ওখানে পড়তে গেলে কিভাবে টাকা দিতে হয়।হয়তো অন্যান্য হসপিটালেও এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তবে সেগুলো বেরিয়ে আসছে না প্রকাশ্যে তাই কেউ জানতে পারছে না।এরই সঙ্গে তিনি এও বলেন শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই ধরনের অপবিত্র ঘটনা ঘটে তাহলে ভালো সিটিজেন ডাক্তার বেরিয়ে আসবে কিভাবে আশা করব আমরা।