নিজস্ব প্রতিনিধি,শালবনি:
গ্রামের মহিলাদের স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে এক প্রস্থ মাঠেই সভা বসালেন জেলার জেলাশাসক।এদিন তিনি শালবনীর আড়াবাড়ি গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হন এবং তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন।খতিয়ে দেখেন লক্ষ্মী ভান্ডারে টাকা পাচ্ছেন কিনা,হেলথ সেন্টার গুলো চলছে কিনা বা প্রশাসনের কোথাও ঘাটতি রয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলি। যদিও জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরীর বক্তব্য এই ধরনের কর্মসূচি চলতে থাকবে গ্রামে গ্রামে।
ভোট কেটেছে প্রায় দুই মাস হতে চলল আর এবার গ্রামে গঞ্জে গ্রামের মানুষদের হাল হাকিকাত জানতে সভা করলেন জেলার জেলা শাসক খুরশেদ আলী কাদরী। মূলত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী, গড়বেতা, দাসপুর,ঘাটাল কেশপুর সহ পিংলা সবং রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা অনগ্রসর প্রজাতি ভুক্ত মানুষদের নিয়ে।যাদের জীবিকায় হল চাষবাস এবং বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজকর্ম।বর্তমান রাজ্য সরকার চাইছেন রাজ্যের সমস্ত মানুষ সঠিক সরকারি সুবিধা পাচ্ছে কিনা তা জানতে। তাই এবার শালবনীর আড়াবাড়ি গ্রামে দৌড়ে গেলেন জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরি।এদিন তিনি গ্রামের মহিলাদের নিয়ে সভা করেন তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে জানতে চান।এরই পাশাপাশি হাইজেনিক বিষয়গুলি নিয়েও হাল হাকিকাত খতিয়ে দেখেন।পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গ্রামের মহিলারা পাচ্ছেন কিনা তাও এক প্রস্থ খোঁজ খবর নেন।যদিও জেলাশাসকের সঙ্গে এদিন এই সভাতে উপস্থিত হয়েছিলেন গ্রামের মহিলারা।তারাও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন জেলা শাসকের কাছে এবং সেগুলোর সমাধানও চান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,এর আগে দুয়ারে সরকার এবং দুয়ারে জেলাশাসক নিয়েও বিভিন্ন কার্যক্রম হয়েছে এই জেলায়। যেখানে জেলা জেলাশাসক খোদ দৌড়ে গেছেন গড়বেতা শালবনী সহ গোয়াল তোড় এর বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহল এলাকায়।বিভিন্ন মানুষ সরকারি প্রকল্প পাচ্ছেন কিনা তাও খোঁজ খবর নিয়ে খতিয়েও দেখেছেন।এর সঙ্গে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা তিনি পাইয়ে দিয়েছেন।প্রয়োজনে দরবার করেছেন তার বিভিন্ন মহলে। যদিও ভোটের সময় সে সময় কাজকর্ম বন্ধ ছিল। তবে ভোট শুরুতেই ফের শুরু হল জেলার গ্রামের মানুষদের হাল হাকিকাত পর্যালোচনা।
যদিও এ বিষয়ে জেলার জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদরী বলেন”,সম্প্রতি গ্রামের মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত নিয়ে এক আলোচনা চক্র চলছে তারই অঙ্গ হিসেবে দৌড়ে গিয়েছিলাম এই গ্রামের মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে। সেখানে গিয়ে গ্রামের মহিলারা কেমন আছেন,তাদের স্বাস্থ্য কেমন আছেন,সেখানে স্বাস্থ্য সেন্টারগুলো ঠিক মতো চলছে কিনা এরই পাশাপাশি কন্যাশ্রী,লক্ষী ভান্ডারের টাকা তারা সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বা সঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখলাম। পাশাপাশি তিনি বলেন কোথায় কোথায় প্রশাসনের ঘাটতি বা খামতি রয়েছে সেগুলোও পূরণ করতে চাই আমরা।তাই এই ধরনের কার্যক্রম আগামী দিনে চলবে গ্রামগঞ্জ সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।