নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ডাকাতি করার আগেই 13 জন ভিন রাজ্যের কুখ্যাত ডাকাতকে ধরলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।প্রায় 8 ঘন্টার অপারেশনে তাদের চন্দ্রকোনা ঘাটাল বর্ডার থেকে ধরে জেলা পুলিশের টিম।যা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরলেন জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার।তিনি বললেন এদের সব কজনই বিহার এবং ঝাড়খন্ড থেকে।এদের উদ্দেশ্য ছিল বড় কারখানায় এবং ব্যাংক লুট করার।
জেলা পুলিশের সাফল্য তাও আবার আট ঘণ্টার মধ্যে এরকমই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার।ঘটনা ক্রমে জানা যায় এইদিন কলকাতা এফ টি এফ সূত্র খবর আসে জেলা পুলিশের কাছে যে একটি বড় গ্যাং তথা ডাকাতের বড় দল ভিন্ন রাজ্য থেকে জড়ো হয়েছে এই জেলায় ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটি করার জন্য।তারা বড় ধরনের অপরাধের ছক কষছে।এই ঘটনা পাওয়া মাত্র জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার তার ঘাটাল এবং চন্দ্রকোনা পুলিশ নিয়ে তড়িঘড়ি টিম করে নেন।দুপুর 12 টা থেকে সারাদিনব্যাপী চলে অপারেশন।অবশেষে আট ঘণ্টার মধ্যে ঝাড়খন্ড বিহার থেকে কুখ্যাত 13 জন ডাকাতকে অস্ত্রশস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করল পুলিশ প্রশাসন।
যার ফলে বড়সড়ো ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেল সহ রাজ্য।পুলিশ সূত্রে জানা যায় এই ডাকাতদের গ্রেপ্তার করে তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র যার মধ্যে রয়েছে কিছু দেশি পিস্তল কার্তুজ।এই ডাকাতদের উদ্দেশ্য ছিল বড় কোন কারখানা ডাকাতি করা সেই সঙ্গে বড় ট্রাক হাইজ্যাক করে পালিয়ে যাওয়া।এই ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশ উদ্ধার করেছে দশটি কার্তুজ তিনটি বন্দুক।এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এক সাংবাদিক বৈঠক করেন।
এদিন এই সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন,”আমরা প্রায় ৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অপারেশনে এদের ধরেছি।এরা আগে থেকেই এসে হাওড়া বা কলকাতায় আস্তানা গেড়ে বসে ছিল।এরপর তারা জেলায় ঢুকেছে আজকে।তারা ঘাটাল এলাকায় জড়ো হলে আমরা চন্দ্রকোনা ঘাটালে বর্ডার এলাকায় ধরেছি তাদের।আমাদের তদন্ত চলছে,আমরা খতিয়ে দেখছি এদের প্রিভিয়াস রেকর্ড এবং কি জন্য উপস্থিত হয়েছিল।যদিও তদন্তের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি এদের মধ্যে একজন রঞ্জিত বলে যে জেলে ছিল এবং জেল থেকেই বাকি কুখ্যাত ডাকাতদের নিয়েই এই ডাকাতির প্ল্যান করে।
যদিও এই ঘটনায় তাদের যথোপযুক্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখে বাকি তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ।