নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
এ এক নরক যন্ত্রণায় পড়েছে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন। খোদ মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড অথচ নেই জল নিকাশি ব্যবস্থা।নর্দমা জল সাফাই করতে লাগানো হচ্ছে পাম্প তাতেও সমাধান মিলছে না সমাধান।পৌরসভার চেয়ারম্যান কে জানিয়ে সমাধান না হওয়ায় মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলো ওয়ার্ডের মানুষজন।দাবি অবিলম্বে জল নিকাশি ব্যবস্থা করতে হবে ওয়ার্ডে।
একদিকে যখন ২৫ টি ওয়ার্ডেই জল,স্বাস্থ্য,হকার উচ্ছেদ নিয়ে অতি তৎপর দেখাচ্ছেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান তখন খোদ নিজের ওয়ার্ডে জল নিকাশি সমস্যা নিয়ে SDO র নিকট দ্বারস্থ হলো ওয়ার্ডের মানুষজন,এমনই ঘটনা মেদিনীপুর শহরে।তারা এদিন তাদের সমস্যা নিয়ে মহকুমা শাসকের নিকট জল নিকাশির সমস্যা সমাধানের দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া দেন।মূলত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাষি পাড়া এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।কিন্তু প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ২০০ ফুটের কাছাকাছি দৈর্ঘ্যের অংশ নর্দমার জল এসে জমা হচ্ছে অভিযোগ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের।তাদের এও অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে একটি ড্রেন হঠাৎ করে তৈরি করে ছেড়ে দেওয়ার জন্য,সেই ড্রেনে আসা সমস্ত নোংরা জল রাস্তার উপর জমা হচ্ছে এবং এলাকার পরিবেশকে দূষিত করছে।যার ফলে এই রাস্তা দিয়ে দুটি প্রাথমিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত, মেদিনীপুর -খড়্গপুরের এর বিভিন্ন স্কুলে পাঠরত প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াত,সেই সঙ্গে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের মানুষের নিত্যদিনের যাতায়াত পড়ছে সমস্যায়।এছাড়া বাইরের মানুষের যাতায়াত হয় এই রাস্তা দিয়ে।
তাদের আশঙ্কা আগামী দিনে বর্ষা নামলে শুধু রাস্তা নয়,এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে। তারা উদাহরণ দিয়ে বলেন গত দু’বছর আগেও এই এলাকা বর্ষার জলে প্লাবিত হয়ে প্রায় দু মাসের কাছাকাছি সময় জল ছিল।মোটর দিয়ে জল সেচ করে সেই সময় জল কমানো হয়েছিল।তারপর এই সমস্যার কোন স্থায়ী সমাধান হয় নি।এই বিষয় নিয়ে গত ১৪ই জুন পৌর প্রধানের কাছে জানিয়েও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় নি। এই অবস্থায় তারা সমস্যার সমাধানে এইদিন এলাকার প্রায় ২০০ মানুষের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে এবং প্রায় শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে মাননীয়া মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশনে দেওয়া হয়।
যদিও এই ঘটনায় মহকুমা শাসক থেকে বিষয়টি অতি দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে দেখবেন বলে জানা গেছে।আপাতভাবে যে জলটি জমা হচ্ছে কিভাবে তা দূরীকরণ করা যায় এবং সেই সঙ্গে আগামী দিনে তাই ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায় সেই উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে বলে দাবি এলাকার মানুষ জনের।তবে এলাকা বাসীর হুমকি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কোন সদুত্তর না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।