নিজস্ব প্রতিনিধি,দাসপুর:
স্কুলের রাস্তায় মদ্যপান করে পড়ে আছে স্কুলের ক্লার্ক,সেই ক্লার্ককে ছাত্ররা ধরে নিয়ে যাচ্ছে স্কুলে।এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় দাসপুরে।ছাত্র থেকে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হলেন এবং বললেন এই ঘটনায় স্কুলের সম্মানহানি হচ্ছে এবং পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।যদিও অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকের সাফাই মাঝে সাজে একটু আধটু খেয়ে আসতেন কিন্তু এই দিন বেশি খেয়ে আসায় তাকে স্কুল থেকে চলে যেতে বলা হয়।যদিও এই ঘটনায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর এক নম্বর ব্লকের রঘুনাথপুর এলাকায়।রঘুনাথপুর এলাকায় রঘুনাথপুর সরোজ মোহন স্মৃতি বিদ্যালয়ে নামে একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুলের ক্লার্ক শঙ্খ ঘোষ স্কুলের সামনের রাস্তায় মদ্যপান করে পড়ে আছে আর তাকে ধরে চাগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে স্কুলের ছাত্রদেরকে।এরকমই বিরল ঘটনা দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দাসপুরের একটি স্কুলে।ঘটনা ক্রমে জানা যায় শনিবার এই স্কুলের এই চিত্র দেখা যায়।যদিও ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় এবং শিক্ষকদের অভিযোগ এই ঘটনা সব দিনের। উনি প্রায় সময় মদ খেয়ে এভাবে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে।তাকে ধরে ধরে নিয়ে আসা হয়,কখনো কখনো আবার রাস্তার ধারে পড়েই রয়ে যান।আর যার ফলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দাসপুরে।কেন স্কুলের এই ক্লার্ক শঙ্খ ঘোষ মদ খেয়ে স্কুলে আসবেন তাই নিয়ে প্রশ্ন ছুড়েছেন একাধিক জন এবং এর ফলে যে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তাও অভিযোগ করেছে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা।
অন্যদিকে এই স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছে এবং তারা বলেছে আগেও এ ঘটনা ঘটায় ওনাকে একবার বলা হয়েছিল কিন্তু উনি শোনেননি।তবে আজকের এই এঘটনা তাদের স্কুলের মানসম্মান নষ্ট করেছে এবং দ্রুত এমসিতে বৈঠক করে এই ক্লার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে একবার নয় একাধিকবার ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে মদ্যপান করে স্কুলে আসার অভিযোগ আছে।কিন্তু তারপরও কি কোন ব্যবস্থা নিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক,উঠছে প্রশ্ন!
এ বিষয়ে এক স্কুল ছাত্র বলে এই ঘটনা প্রতিদিন হয়েই থাকে।উনি প্রায় সময় মদ খেয়ে রাস্তায়,নালার ধারে পড়ে থাকে।আমরা ধরে ধরে নিয়ে আসি।এই দিনও ধরে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই সারের জন্য আমাদের পড়ার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এই স্কুলে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিশ্বজিৎ বিসই বলেন ওই স্যারকে দেখি প্রায় দিনই মদ খেয়ে স্কুলে আসতে টলতে টলতে। ছাত্রছাত্রীরা ধরে ধরে নিয়ে আসে কখনো।আবার কখনও বিভিন্ন জায়গায় পড়ে থাকে।আমাদের দাবি এর ফলে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং ওনাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে।
যদিও এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিঙ্কর চন্দ্র পাত্র বলেন এই ঘটনার খবর আগেও আমরা পেয়েছিলাম এবং তাই নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।এর আগে উনাকে বলা হয়েছিল কিন্তু উনি শুনেন নি।এনিয়ে বহুবার ঘটনা ঘটেছে কিন্তু এই দিন একটু বেশি হয়ে গেছে।স্কুলে এই ধরনের জিনিস আমরা বরদাস্ত করব না।তবে আমরা দ্রুত যেখানে জানানোর জানাবো এবং MC তে আলোচনা করব।এরপরে যা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার উনার বিরুদ্ধে সেই ব্যবস্থা আমরা নেব।তবে এর সঙ্গে তিনি এও বলেন অন্যান্য দিন কম খেলে বোঝা যায় না কিন্তু এই দিন একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছেন।তাই ছাত্র-ছাত্রীরা উনাকে ধরে ধরে নিয়ে এসেছে।