নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
বার বার পরীক্ষা দিয়েও চাকরি জোটে নি তাই ভ্যারাইটি ফুচকা নিয়ে ফুচকা দোকান D.L.Ed সুব্রত সী।মায়ের গ্রুপ লোনের মাধ্যমে ব্যাবসা খোলা।সেই ব্যাবসাতে নিজের ভবিষ্যত দেখছে সুব্রত।আলু পুরের ফুচকা তো আছেই তার সঙ্গে চকলেট ফুচকা,পনির ফুচকা,আইসক্রিম,জেলি ফুচকা সহ প্রায় ৮-১০ ধরণের ফুচকা পাওয়া যাচ্ছে তার কাছে। আর সেই ফুচকা খেতেই ভিড় জমাচ্ছে সন্ধ্যা থেকে কিশোর কিশোরী তরুণ-তরুণী সহ দম্পতিরা।
এমনই এক শিক্ষিত বেকার হলেও সুব্রত সী। সুব্রত জিওগ্রাফি অনার্সে গ্র্যাজুয়েশন করার পর ডি এলএড করে প্রাইমারি লাগানোর চেষ্টা করে। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত হয়ে প্রাইমারি তো চাকরি পাইনি সুব্রত।এক ও একাধিক ফর্ম ফিলাপ করেছে তার এই ৩০ বছরের জীবনে। বাড়ি চন্দ্রকোনা হলেও মেসে থাকাকালীন মেদিনীপুরে তার পরিচয় গড়ে ওঠে কিছু বন্ধু-বান্ধবের। তার সূত্র ধরেই চাকরির চেষ্টা করে বৃথা না পাওয়ায় অবশেষে ফুচকার স্টল নিয়ে হাজির হয় শহরের পুলিশ লাইন পার্ক এলাকায়।গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোন নিয়েছে মায়ের দ্বারা। সেই ইন্টারেস্টে টাকা নিয়েই শুরু করেছে ব্যবসা। রীতিমতো কয়েক হাজার টাকার মেশিন সঙ্গে ইন্সট্রুমেন্ট এবং দোকান ভাড়া নিয়েই জীবিকা উপার্জনের চেষ্টায় এই সুব্রত। তবে ফুচকার গ্রাহকের মুখে তুলে দিতে হাইজনিক ভ্যারাইটি ফুচকা নিয়ে হাজির সে।
আলু পুরের ফুচকা তো আছেই তার সঙ্গে চকলেট ফুচকা,পনির ফুচকা,আইসক্রিম,জেলি ফুচকা সহ প্রায় ৮-১০ ধরণের ফুচকা পাওয়া যাচ্ছে তার কাছে। আর সেই ফুচকা খেতেই ভিড় জমাচ্ছে সন্ধ্যা থেকে কিশোর কিশোরী তরুণ-তরুণী সহ দম্পতিরা। শুধু দোকানেই ফুচকা বিক্রি করছে তা নয় এরই সঙ্গে সুব্রত চেষ্টা করছে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে ফুচকার অর্ডার ধরা। সেই প্রেক্ষিতেও সে কাজ করে চলেছে।বাড়িতে মা বাবা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও এক বছর দুয়েকের ছেলে। সুব্রত র বেকারত্বের জ্বালা রয়েছে আছে আর তা থেকেই এই ব্যবসাতে নামা বলেই মত সুব্রতর। কারণ শুধু শুধু বেকার বসে থেকে বাড়িতে বাবা-মায়ের রাগের বহিঃপ্রকাশ না ঘটিয়ে বরং নিজের পায়ে দাঁড়ানোই তার উদ্দেশ্য। তাই কোন কাজই যে ছোট নয় তাই প্রমাণ করে দিয়েছে এই শিক্ষিত যুবক।সুব্রত র সঙ্গে দোকানে হাত মিলিয়েছে তার সমন্ধী শ্যামাশিস মান।
এদিন দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুব্রত জানায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরির চেষ্টা করেছি।সম্প্রতি দেওয়া টেট পরীক্ষায় ও বসেছি কিন্তু চাকরি হয় নি।জীবনে কোনও কাজই ছোট নয় তাই এই ফুচকার স্টল।আগে পাড়ার লোকে নাক সিটকাত এখন আর সেইদিকে নজর দিয় না।বাড়িতে স্ত্রী বাচ্চা ও মা বাবা রয়েছে।তাই এই ফুচকার দোকান করা।
তবে সুব্রতর ফুচকার তারিফ করেছে খেতে আসা গ্রাহকেরা।অপরূপা বোস,বনানী বোসরা বলেন আমরা প্রায় আসি এই ফুচকা খেতে।ছেলেটা ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের ভালো ভালো ফুচকা বানায়।কোনও কাজই ছোট কাজ নয় এটা সুব্রত বুঝিয়ে দিয়েছে।