নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
খোলা তারের বলি হচ্ছে রাজ্যে একের পর এক প্রাণ। কিন্তু এরপরেও কি ঘুম ভাঙছে প্রশাসনের? মেদিনীপুর শহরের রিংরোড জুড়ে খোলা তারের রমরমা,ছবি তো এমন কথা বলছে। যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে,জেলা শহরের মানুষজন।যদিও মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের বক্তব্য আমরা আগে থেকে প্রিকোশন হিসেবে ত্রিফলার লাইটের বাতিস্তম্ভ গুলির সমস্ত তার ডিসকানেক্ট করে দিয়েছি এবং বাকিগুলোরও কাজ চলছে।
একদিকে বর্ষাকাল আর অন্যদিকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার মালি পাঁচঘরা শুধু প্রশাসনের উদাসীনতায়।যদিও এরপরেও হুঁশ ফিরছে না মেদিনীপুরের এ রকমই ঘটনা খোদ মেদিনীপুর শহরে।মূলত মেদিনীপুর শহরের রিংরোড থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাস্তায় যে বাতি স্তম্ভ গুলি রয়েছে সেখানে বেরিয়ে রয়েছে খোলা তার।বিপদজনক ভাবেই রয়েছে।তবে সেই তার ঢেকে দেবার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে।মেদিনীপুর শহরে রিং রোড বলতে বটতলা চক গোলকুয়া,কেরানিতলা,পঞ্চুরচক এলআইসি,কালেক্টরি এমনকি স্টেশন রোড সংলগ্ন এলাকা গুলিতেও এই ভাবেই প্রশাসনের উদাসীনতায় বাতি স্তম্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছে খোলা তার। সেই খোলা তারের মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছে মেদিনীপুর শহরের মানুষজন,সাইকেল গাড়ি এমনকি পথচারীরা।মহিলা পুরুষের পাশাপাশি এই খোলা তারের স্তম্ভর পাশ দিয়ে হাঁটছে পড়ুয়ারা।উল্লেখ্য ২৪ ঘন্টা আগেই হাওড়ার মালি পাঁচঘরায় খোলা তারে বিদ্যুৎপষ্ট হয়ে প্রাণ দিয়েছে এক পড়ুয়ার। রাজ্যে একের পর এক খোলা তার থেকে পৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এরপরেও হুশ ফেরেনি বিদ্যুৎ দপ্তরের।কবে হুঁশ ফিরবে কর্তাদের? এ প্রশ্ন তুলছে মেদিনীপুরের সাধারণ মানুষই। খোলা তারের হাল হকিকত নিয়ে সেই ছবি ফুটে উঠলো এদিন আমাদের ক্যামেরায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,কিছুদিন আগে মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ারে মোড়ে একটি খাবার দোকানে এইভাবেই শর্ট-সার্কিটের জেরে মৃত্যু হয়েছিল এক দোকানদারের আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন দোকানদার।যদিও সেই ঘটনায় চটজলদি পৌরসভা সমস্ত হকারের দোকানদারদের ইলেকট্রিক লাইন কেটে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল।তবে তারপর আবার পরবর্তীকালে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে তাদের এই দোকানের লাইনগুলি।
যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় সুকুমার মাঝি,অভিলাষ সিং রাজপুতরা বলেন,”কলকাতার মতন ঘটনায়ও হুঁশ ফিরছে না পৌরসভার।যদিও কিছুদিন আগে মেদিনীপুর কলেজের স্ট্রিটের সামনে এক দোকানদার বিদ্যুৎপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন এইভাবে।তারপরও চুপ রয়েছে পৌরসভা ও প্রশাসন।আমরা চাই এ বিষয়ে নজর দিক এবং সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিক মেদিনীপুর পৌরসভা ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
যদিও এ বিষয়ে চটজলদি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খানের।এদিন তিনি বলেন বৃষ্টি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্রিফলাযুক্ত বাতিস্তম্ভ গুলো যে গুলো ভেঙে গিয়েছে তার সমস্ত লাইন ডিসকানেক্ট করে দিয়েছি।কলকাতার ঘটনার পর আমরা আরো নজর রাখছি এই বাতিস্তম্ভ গুলির উপর।তবে শহরের এরকম অনেক বাতিস্তম্ভ খোলা অবস্থায় আছে আমরা কর্মী পাঠিয়ে পাঠিয়ে সেগুলো লাইন ঠিক করছি এবং ডিস্টার্ব লাইন গুলো ডিসকানেক্ট করে দিচ্ছি। তবে জট পাকানো কেবল লাইন নিয়ে তিনি বলেন আমরাই তো টিভি দেখি কেবল লাইন দেখি আমরাও এর জন্য অনেকাংশে দায়ী।তবে মালিক পক্ষকে অবশ্যই জানাবো এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।