নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশিয়াড়ি:
বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ভাসুরের।আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কজনক অবস্থায় ভর্তি একই পরিবারের তিন ব্যাক্তি।যদিও এই ঘটনায় আহত তিনজনকেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।এই ঘটনায় পুলিশ ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা এসে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটি বুধবার দুপুরে কেশিয়াড়ির এলাসাই এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে প্রতিদিনের মতো এই দিনও বাড়ির গৃহবধূ রিনা দাস জামাকাপড় কেঁচে শুকাতে যান একটি নিষ্ক্রিয় ইলেকট্রিক তারে।কিন্তু সেই নিষ্ক্রিয়তার কোনক্রমে শর্ট-সার্কিটের জেরে তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। এরপর বৌমা কে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হতে দেখে তাকে বাঁচাতে দৌড়ে যান ভাসুর মানিক দাস(৪৪)কিন্তু তিনিও বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে যান।এরপর একে একে শাশুড়ি গিরিবালা দাস এবং পরবর্তীকালে ওই গৃহবধুর স্বামী বিপ্লব দাস তাদের বাঁচাতে দৌড়ে যান।কিন্তু তারাও বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।এরপর ঝাম্পার নামিয়ে দিলে সকলে পড়ে যান।এই ঘটনায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ভাসুরের।অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাকি তিনজনকে প্রথমে কেশিয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে তাদেরই মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক,নেমে এসেছে শোকের ছায়া।বিদ্যুৎ দপ্তর ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে বাড়িতে থাকা বিদ্যুতের লাইনের গাফিলতির পড়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।যদিও ইতিমধ্যে পুরো ঘটনা তদন্ত করছে কেশিয়াড়ি পুলিশ ও কেশিয়াড়ি বিদ্যুৎ দপ্তর।
যদিও এই ঘটনায় কারণ খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।