নিজস্ব প্রতিনিধি,শালবনি:
হাতির আক্রমণ অব্যাহত জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরে।ক্রমাগত হাতির আক্রমণে মারা যাচ্ছে মেদিনীপুরে কৃষকরা,এরকমই ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন দফতর এবং মেদিনীপুরের মানুষজন।যদিও চন্দ্রকোনায় হাতির হামলায় মৃত্যুতে গতকালই মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বনদপ্তর।
বুধবার রাতে মাত্র তিন ঘন্টার ব্যবধানে এই চারটি দলছুট দাঁতালের তাণ্ডবে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে মেদিনীপুর বনবিভাগের ভাদুতলা রেঞ্জের মৌপাল বিটে। মৌপাল বিটের অধীন শালবনী ব্লকের পাশাপাশি দু’টি গ্রাম, যথাক্রমে কালিবাসা ও নোনাশোলে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬-টা ও রাত্রি সাড়ে ৯-টায় মর্মান্তিক এই ঘটনা দু’টি ঘটে। কালিবাসা গ্রামের বাসিন্দা টুকেশ্বর মান্ডি বাড়ির পাশেই আলু জমিতে হাতির হামলায় প্রাণ হারান।নোনাশোলের বাসিন্দা ভাস্কর কিস্কুর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। দু’জনকেই উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।দুই ক্ষেত্রেই ঘাতক মৌপাল বিটের ৪টি দলছুট দাঁতাল। বনদপ্তরের তরফে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার সাথে সাথেই পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার বিষয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।কিন্তু হাতির হামলা থেকে জঙ্গলমহলবাসীর প্রাণ রক্ষার বিষয়ে ‘আশ্বস্ত’ করতে পারেনি কেউই।পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া প্রভৃতি এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু ঘটেই চলছে।যা ‘স্বাভাবিক-ঘটনা’-য় রূপান্তরিত হচ্ছে ক্রমেই।কোন পথে এর সঠিক সমাধান সম্ভব,তা বলতে পারছে না বনদপ্তর থেকে পুলিশ-প্রশাসন কেউই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত সোমবার সন্ধ্যায় চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়ার জঙ্গলে হাতি দেখতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল ধামকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪৮ এর প্রদীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির।বুধবার সন্ধ্যায় মৃত ব্যাক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হল।মৃতের পরিবারের হাতে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।বনদপ্তরের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা রেঞ্জের রেঞ্জার তমাল মুখার্জি সহ অন্যান্যরা।