নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
কর্মবিরতির মধ্যেই মেদিনীপুরে বিরল অপারেশনে যোগ দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা!প্রথম বারের জন্য মেদিনীপুরে সফলভাবে সম্পন্ন হল”কেরাটোপ্লাস্টি”।দিনের শেষে’হিরো জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের মতে আন্দোলন আন্দোলনের জায়গা থাকবে তবে পরিষেবা দিতেও আমরা পিছুপা হব না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,আরজি করের অভয়া কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ১৫ দিন।সেই ঘটনায় বিচারের দাবিতে এখনো হাসপাতালে,হাসপাতালে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে আন্দোলনরত চিকিৎসকরাই এবার নজির গড়লো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।দীর্ঘ কুড়ি বছরে মেডিকেল কলেজে প্রথমবারের জন্য চক্ষু প্রতিস্থাপন করা হলো।এইদিন সিনিয়র ডাক্তারদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চক্ষু প্রতিস্থাপন অপারেশনে অংশ নিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। মূলত বছর দুয়েক ধরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চক্ষু প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সেটআপ করা হলেও মিল ছিল না আই ডোনার।রেটিনার প্রয়োজন এমন কিছু রোগীর তালিকা ও প্রস্তুত করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ।অতি সম্প্রতি এক প্রৌঢ়া চক্ষুদানের ইচ্ছা প্রকাশ করে।মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই দিন দুয়েক আগে মৃত্যু হয় ঐ প্রৌঢ়ার।এরপরই হাসপাতালের তরফে সংরক্ষণ করা হয় প্রৌঢ়ার চোখের রেটিনা।তালিকা ধরে ডেকে পাঠানো হয় দুই রোগীকে যাদের চক্ষুর প্রয়োজন রয়েছে।
দুই রোগীর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সফল ‘কেরাটোপ্লাস্টি’ অর্থাৎ চক্ষু প্রতিস্থাপন করা হয় বৃহস্পতিবার।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,চক্ষু বিভাগের ১৬ জনের বিশেষ দল এই দুই অপারেশনে যোগ দেয়।এদের মধ্যে ছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররাও।একদিকে যেমন অভয়ার খুনে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে তখন এ ধরনের বিরল অপারেশনে জুনিয়র ডাক্তারদের যোগদান মানুষের মধ্যে অন্য বার্তা পৌঁছাবে বলেই মত সিনিয়র ডাক্তারদের।
ডাক্তারদের কথামতো যতদিন না পর্যন্ত অভয়া খুনে জড়িতদের কঠোর শাস্তি হবে ততদিন আন্দোলন যে জারি থাকবে তা কার্যত স্পষ্ট।তবে একই সাথে তারা এটাও জানাচ্ছেন জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন সংকোচ করবেন না তারা।এই আই ডিপার্টমেন্ট বছর দুয়েক আগের খোলা হয়েছে।আমরা অপেক্ষা করছিলাম এবং জোর করে কারো কাছে কর্নিয়া নিয়ে নিতে পারি না যতক্ষণ না সে স্বেচ্ছায় দান করেন।এরপর তাকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।এরপর প্রয়োজনীয় ব্যক্তিকে অপারেশনের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তার অমূল্য সম্পদ।তবে আমাদের আন্দোলন যেমন একদিকে চলছে অভয়া কান্ডের জন্য তখন কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষকে পরিষেবাও দিয়ে আসছি রীতিমতো প্রতিদিন।