নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
ঘরের খাবার ভুলে ফাস্ট ফুডের মেলায় অকালে হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব থেকে তরুণ তরুণীরা! তরুণ তরুণী থেকে ছোট বড় সবাই জিহ্বার স্বাদ ছাড়তে পারছে না,তাই রোগ ডেকে আনছে।দাবি সাধারণ মানুষ থেকে স্বাস্থ্য আধিকারিকের।সন্ধ্যে হলেই ফাস্টফুডের দোকানে লাইন দিয়ে ভিড় ক্রেতাদের।
সন্ধ্যেবেলায় যদি একটু গরম গরম মোমো অথবা বড় লেগপিস দিয়ে বিরিয়ানি বা যদি একটু গরম মোগলাই হয়ে যায় তো কেমন হয়!ঠিক এই ভাবেই ফাস্ট ফুডে আক্রান্ত হয়ে উঠেছে খোদ রাজ্যসহ পশ্চিম মেদিনীপুর। মেদিনীপুরের শহরের আনাচে-কানাচে হঠাৎ করে গড়ে উঠেছে একাধিক ফাস্ট ফুডের দোকান।ঘরের রান্না বান্না তুলে দিয়েছে এখনকার প্রজন্ম।সকাল,বিকাল,সন্ধ্যে সারাক্ষণই এই ফাস্ট ফুডেই তারা মেতে উঠেছে।একদিকে রান্নাবান্নার ঝক্কি,জিনিসপত্র কেনাকাটা,সবজি মাছ কাটাকুটি, মশলা বাটা দিয়ে রান্না করা অপরদিকে একদম রেডিমেড তৈরি করা খাবার তাও আবার টাকা ফেললেই ঘরে।আর তাতেই রীতিমতো সাধারণ মানুষ ঘরের খাবার ছেড়ে এখন ফাস্টফুডের দিকে দৌড়াচ্ছে।আর এতেই ঘটছে বিপত্তি বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।যদিও সম্প্রতি এক জার্নালে জানা গেছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ডাক্তাররা বেশিরভাগই মানুষকে সতর্ক করছেন ফাস্টফুড না খেতে। কারণ তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ফাস্টফুড খেলে একদিকে যেমন তেল মশলায় বাড়ছে কোলেস্টেরলের পরিমাণ তেমনি হার্ট অ্যাটাক সহ নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে।ফলে কমে আসছে আয়ু মানুষের।এই দীর্ঘ মেয়াদী রোগ নিয়ে প্রতিদিন লম্বা লাইন পড়ছে ডাক্তারখানা,হাসপাতাল ও বড় বড় নার্সিংহোমে।শুধু রাজ্যের হাসপাতাল নয় এইমস এবং ব্যাঙ্গালোরগামী বহু বড় বড় চিকিৎসা কেন্দ্রে লাইন লাগাচ্ছে সাধারণ মানুষ।তারপরও হুঁশ ফিরছে না তাদের।কে করবে তাদের সতর্ক,কে শুনবে সচেতনতার বার্তা।সেই নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
যদিও এই নিয়ে মানুষকেই দোষারোপ করেছে শিক্ষক বীরেন পাল,অনুপ ঘোষ মানব মানারা।তারা বলেন মানুষ সতর্ক সচেতন হলেও জিহ্বার স্বাদ মেটাতে হাজির হচ্ছেন প্রতিদিন এর ফাস্ট ফুডের দোকানে।আর তারা অগোচরেই প্রয়োজনমতো না খেয়ে প্রতিদিন খেতে খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে,যাতে ঘটছে বিপদ।আর তারা নিস্তব্ধে চলে যাচ্ছেন মৃত্যুর কোলে। এই নিয়ে যদি মানুষ ইতিমধ্যে সতর্ক না হয় তাহলে আগামী প্রজন্ম হয়তো রোগে রোগাক্রান্ত হয়েই ওষুধ খেতে খেতে বাকি জীবনটা কেটে যাবে।
যদিও এ বিষয়ে ফাস্টফুডের দোকানদার প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য,শুভম পাল,অমিত সামন্তরা বলেন আমরা জানি অতিরিক্ত ফাস্টফুড শরীরের পক্ষে খারাপ কিন্তু আমরাও আমাদের পেটের তাগিদেই এই ব্যবসা করছি।যা খেতে ভিড় জমাচ্ছেন আট থেকে আশি তরুণ বয়স্ক থেকে কচি কাঁচারা প্রতিদিন।
যদিও এই ফাস্টফুডের বিরোধিতায় করেছে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গী। তিনি বলেন মানুষ স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নন।এই ফাস্ট ফুডের দরুণ বহু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন মানুষ।এক্ষেত্রে মানুষকেই সচেতন হতে হবে,তবেই মিলবে প্রেসার,সুগার,কোলেস্ট্রল সহ দীর্ঘ মেয়াদি রোগ থেকে মুক্তি।