নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমোচ্ছিল ঠিক তখনই সারি সারি করে লাগানো দোকানে হঠাৎ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ছটি দোকান।ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের কোতোয়ালীর অন্তর্গত রাঙ্গামাটি গেট বাজারে। এই আগুন লাগার ঘটনায় পুড়ে ছাই ৬ টি দোকান। অন্যদিকে এই আগুনে গ্যাস সিলিন্ডারের ফেটে তার টুকরো ছিটকে এসে মৃত্যু এক ৮ বছরে শিশুর।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে,আসে পুলিশ প্রশাসন।
ভোররাতে বিধ্বংসী আগুনে মর্মান্তিক ঘটনাগুলো মেদিনীপুর জুড়ে,যার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য।মূলত মেদিনীপুর শহরে প্রধান যে চারটি বাজার রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্তবহুল বাজার হলো এই উড়ালপুলের সামনে গেট বাজার।যেখানে সারি সারি দিয়ে যেমন শাকসবজির দোকান আছে তেমনি জামা-প্যান্ট বেনা দোকান মাংস দোকান এবং বিভিন্ন স্টেশনারি দোকান রয়েছে।এর সঙ্গে রয়েছে ফাস্টফুডের দোকান ও ফলের দোকান। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এই আগুন লাগার খবর আসে।সূত্র অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মেদিনীপুর শহরের গেট বাজারে হঠাৎই বিধ্বংসী আগুন লেগে যায়।মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাজারের মধ্যে থাকা পাঁচ থেকে ছয়টি দোকান। আগুন লাগার খবর পেয়েই ছুটে আসে এলাকার মানুষ।এই আগুন বাড়তে থাকলে সে সময় একটি দোকানে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে।এই গ্যাস সিলিন্ডারের ব্লাস্ট করা টুকরো ছিটকে চলে এসে লাগে এক আট বছরের শিশুর গায়ে।এরপর সেই আহত শিশুকে চটজলদি উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসরা মৃত বলে ঘোষণা করে তাকে।অন্যদিকে এই বিধ্বংসী আগুন লাগার খবর দমকল ও পুলিশে পৌঁছলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দুটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ আনে।তবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।
টুলু রানা নামে শিশুর দাদু বলেন গভীর রাতে যখন আগুন ধরে যায় তখন আমরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।এই আগুন লাগা থেকে একটি গ্যাস সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয় এই মিষ্টি দোকানে থাকা।এরপরই সেই সিলিন্ডারের টুকরো ছিটকে এসে আমার নাতির গায়ে লাগে তাতেই মৃত্যু হয় আমার নাতির।
বর্ণালী বেরা ও স্থানীয়রা বলেন ভোররাতে সবাই যখন অঘোরে ঘুমোচ্ছিলাম ঠিক সেই সময় আগুন লেগে যায় এই একটি দোকানে।সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বাকি দোকানগুলোতে।এরপর দোকানে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার ব্লাস্ট করে আরো বিধ্বংসী আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই সিলিন্ডারের টুকরো ছিটকে পড়ে ঘুমন্ত এক শিশুর ওপর ।এই ঘটনায় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলেছে শুনেছি।যদিও পরে দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নিভিয়েছে।তবে আমরা খুব শোকাহত এই শিশুটির মৃত্যুর জন্য।