নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “দিগন্তের দিশারী”-র উদ্যোগে এবং স্থানীয় সংগঠন Association for Development and Social Welfare এর সহযোগিতায় ডেবরা থানার ত্রিলোচনপুরের নিকটবর্তী বন্যা প্রভাবিত চককৃপান গ্রামে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির,ঔষধ প্রদান ও ফলমূল বিতরণের কর্মসূচি।
এই শিবিরটি পরিচালনা করেন ঝাড়গ্রামের দুই বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা Jhargram Medical College & Hospital এর Sensitive Neonatal Care Unitএর Medical Officer ডাঃ ঊর্মিলা পাল এবং ১২বছর ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চিকিৎসা করে আসার পর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলার পড়িহাটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মরত Medical Officer ডাঃ পরিমল মাহাত।ঝাড়গ্রাম থেকে প্রায় ১০০কিমি যাত্রাপথের ধকল সহ্য করেও দুই চিকিৎসক হাসিমুখে শিশু থেকে বৃদ্ধ,প্রায় ১৪০জন গ্রামবাসীর স্বাস্হ্য পরীক্ষা করেন।এছাড়াও বিশেষভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও গ্রামীন স্বাস্থ্যকর্মী জগদীশ মাইতি ও সমাজবন্ধু বিলু পাত্র।বাইকে না পারলেও অধিকাংশ রোগীদেরই প্রায় সমস্ত ঔষধ বিনামুল্যে এই শিবির থেকে প্রদান করা হয়।পাশাপাশি এই শিবিরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে আগত সমস্ত সাধারণ মানুষ সহ অন্যান্য বয়স্ক ও শিশুদের হাতে আপেল, কলা,মৌসম্বি লেবু,বিস্কুট ইত্যাদি উপহার স্বরূপ তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও দিগন্তের দিশারী’র পক্ষ থেকে বানভাসি দরিদ্র অসহায় মানুষদের কথা ভেবে অসংখ্য পুরাতন কিন্তু ভালো ব্যবহার যোগ্য জামাকাপড় সংগ্রহ করে আনা হয়েছিল যেগুলো গ্রামবাসীরা নিজেদের পছন্দমতো খুশিমনে সংগ্রহ করে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে দিগন্তের দিশারী”-র পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি পেশায় শিক্ষক মাননীয় অঞ্জন জানা মহাশয় ও সংগঠনের প্রবীন সদস্য মুখ্য উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন শিক্ষক মাননীয় পঙ্কজ কুমার গিরি মহাশয় বলেন, “সংগঠনের সমস্ত সদস্য শুভাকাঙ্ক্ষীরা তো আছেনই কিন্তু এই শিবিরটি কে সাফল্য মন্ডিত করতে দুই চিকিৎসক সহ সমাজবন্ধু বিলুবাবু, জগদীশবাবু, দীপক মাহাত,মনিশঙ্কর রায় এবং ADSW এর সদস্য বনমালী পাত্র,বানেশ্বর সামুই সহ অন্যান্য সদস্যদের আন্তরিক সহযোগিতা অনস্বীকার্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সন্ধ্যাবেলায় ক্যাম্প থেকে ফেরার পথে ‘দিগন্তের দিশারী’র সদস্যারা গিয়েছিলেন ডেবরা থানার মাড়তলা গ্রামে বিশিষ্ট সমাজসেবী অমিত পাল ও সহযোগী বিলু পাত্র পরিচালিত”আশার আলো প্রতিবন্ধী সংস্থা”-র শিশুদের সাথে দেখা করতে। সংগঠনের পক্ষ থেকে ফল-মূলসহ কিছু উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছিল শিশুদের হাতে।যদিও কোনও প্রস্তুতি ছিল না তবুও দুই চিকিৎসকের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য কিঞ্চিত আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী দিনেও শিশুদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।