নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :
ফুডেও জালিয়াতি রীতিমত লজে ক্যাম্প বসিয়ে “ফুড সেফটি মিত্রার “নাম দিয়ে ফর্ম ফিলাপ শুরু করল ফুড অফিসার কল্পনা যাদব।শুধু তাই নয় ১০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ দোকানদারদের।অথচ এই ঘটনা জানেন-ই না জেলা স্বাস্থ্য আধিকারীক এবং তিনি কোন নির্দেশ দেননি বলে অভিযোগ।এই ঘটনার তড়িঘড়ি এনকোয়ারি কমিটি বসিয়ে তদন্ত করার নির্দেশ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সড়ঙ্গির।দোষী হলে শাস্তি পাবেই দাবি তার।
এই যেন ঠিক উলট পুরান! ফুড অফিসার তার নির্দিষ্ট কুপন বিলি করে টাকা সংগ্রহ করছে আর অন্যদিকে এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন খোদ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারীক! এরকমই ঘটনা মেদিনীপুর শহর জুড়ে।আর তাতেই চাঞ্চল্য ছড়ালো। যদিও শেষ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি বসিয়ে ইনকোয়ারি করার নির্দেশ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের। ঘটনা ক্রমে জানা যায় গতকাল একটি টোটো গাড়িতে করে প্রচার করে একটি “ফুড সেফটি মিত্রা”নামে একটি সংস্থা।তারা প্রচারে বলেন মেদিনীপুর শহরে যত ছোট বড় খাওয়ার দোকান আছে,তারা যেন অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন করে নেয়,না হলে জরিমানা,গ্রেপ্তার করা হতে পারে।এরপরই সকাল থেকে মেদিনীপুরের একটি লজে নির্দিষ্ট অফিস খুলে রীতিমত ফরম ফিলাপ করা শুরু করেন এই ফুড অফিসার কল্পনা যাদব ও তার লোকজন।এরপরই তারা শহরের ক্ষুদ্র থেকে বড় দোকানদারদের ফর্ম দেয় কিন্তু তাতেও ঘোটালা।
১০০ টাকার ফরম রীতিমতো পেনের কালিতে করে লিখে ২০০ টাকা করে তারা সংগ্রহ।এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরে।এই ঘটনার পরেই সংবাদ মাধ্যমে কর্মীরা যখন সেই ফুড অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন এবং ছবি তোলেন। পরে এই বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকারীকের কাছে জানতে চান তখন স্বাস্থ্য আধিকারিক পুরো বিষয়টি নাকচ করে দেন।স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে এই সম্বন্ধে তার কোন ধারণায় নেই। তিনি কোন নির্দেশ দেননি,তার কাছে কোনো রকম কাগজপত্র না নিয়েই এই ধরনের ক্যাম্প চালাচ্ছে তারা।এই নিয়ে তিনি যদিও তদন্তের নির্দেশ দেন।এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে তাহলে এই ফুড অফিসার কার নির্দেশে বা কার নেতৃত্বেই এই ধরনের ফরম ফিলাপ করছিলেন।সরকারি অফিসের কাজ লজে ক্যাম্প করে কি ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এই বিষয়ে একটি দোকানের মালিক রাজেশ নন্দী বলেন হঠাৎ কালকে টোটোয় করে ক্যাম্পেনিং করতে দেখেছি। আজকে ফরম ফিলাপের জন্য ডেকেছিল। মোট ১০০ টাকা ফর্মে লেখা আছে আমাদের কাছে ২০০ টাকা করে নিয়েছে ফরম ফিলাপ করে জন্য।ঠিক কেন কিভাবে তা জানতে পারিনি এবং সার্টিফিকেট দেবে বলেছে পরে।
এই বিষয়ে জেলার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সংকর সড়ঙ্গী বলেন মেদিনীপুর শহরে এইভাবে কোন করে ফরম ফিলাপ এবং টাকা তোলার ঘটনা আমার ঠিক জানা নেই।আমার জেলা থেকে আমি কোন নির্দেশ দেয় নি বা নবান্ন থেকে কোন নির্দেশ পাইনি। যদি কেউ এগুলি করে থাকে তা অবৈধ।এগুলি খতিয়ে দেখা হবে।এরজন্য আমরা একটি তদন্ত কমিটি গড়ে দিচ্ছি। তারা ইনকোয়ারি করবে।যদি তাদের দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে “ফুড সেফটি মিত্রা”ক্যাম্পে দায়িত্ব থাকা ফুড অফিসার কল্পনা যাদব বলেন আমরা স্বাস্থ্য আধিকারিক এর নির্দেশ মতই কাজ করেছি।আমরা এই ছোট বড় ব্যবসায়ীদের খাবার সেফটি মান বজায় রাখার জন্য এই ফর্ম ফিলাপ করছি।১০০ টাকা ফরমের দাম এবং আমরা এক্সট্রা ১০০ টাকা নিচ্ছি মূলত এই ফর্ম ফিলাপের processing charge হিসাবে।আমরা জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ অনুসারে এসেছি।তবে এই ক্যাম্প কেন এই লজে তা নিয়ে যদিও উত্তর দিতে পারেনি এই আধিকারিক।