নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
দলীয় মিটিং এ যাওয়ার পথে আক্রান্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি যা নিয়ে ফের উত্তেজনা ছড়ালো কেশপুর জুড়ে।যদিও এই ঘটনায় এবার অবিলম্বে দেব কে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়।তিনি আক্রান্ত বিজেপি মন্ডল সভাপতি কে দেখতে এসে বলেন এবার অন্তত পুলিশ গ্রেফতার করুক না হলে আমরা আজকে সারাদিন কেশপুরে থাকব কালকে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেব।
ভোটের মুখে ফের রক্তাক্ত হলো কেশপুর।গত বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে যাবার পথে আক্রান্ত হয় বিজেপির বুথ সভাপতি।যে ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনায় এই দিন কেশপুরে আক্রান্ত আহত বিজেপির মন্ডল সভাপতি শুভেন্দু সামন্তকে দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়।এইদিন তিনি আহত শুভেন্দু সামন্তকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং আইনি লড়াইয়ের কথা বলেন।পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরন বলেন,”আমাদের কর্মীকে ভেবেচিন্তে দিনের আলোতে খুন করার চক্রান্তও পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল।আমাদের দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষকে খুনের টার্গেট করা হয়েছিল।তন্ময় ঘোষ অন্য রাস্তায় চলে যাওয়ার পরেই তন্ময় ঘোষকে না পেয়ে আমাদের মন্ডল সভাপতি শুভেন্দু সামন্তকে বেধড়ক মারধর করা হয়”।তিনি প্রাক্তন সাংসদ দীপক অধিকারী নিয়ে বলেন,”এই পুরো পরিকল্পনাটা আমাদের যিনি তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেতা প্রাক্তন সাংসদ দীপক অধিকারীর”।তিনি বলেছিলেন ১০ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে কেশপুরে একটা খুন হবে।
তার মানে এই যে খুনের পরিকল্পনা সেটা তিনি জানতেন।এটা নিয়ে এর আগে আমরা থানায় FIR করেছিলাম আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন ফাইল করেছি।এদিন হিরন জোর গলায় বলেন এখন আমরা চাইবো পুলিশ কখন দেবকে এরেস্ট করে! হিরন এদিন কেশপুরের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,”ঘটনার দিন এবং সেই সময়ে এখানে বিজেপির কেউ ছিল না।ওখানে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী মেরেছে এবং সেটা সাংসদের নির্দেশেই মেরেছে।উনি বুঝে গেছেন পায়ের তলার জমি সরে গেছে,দুই থেকে তিন লাখ ভোটে হারার ভয়ে পুরানো ২০১৪ এবং ২০১৯ ছকে রক্তাক্ত করছে কেশপুরকে।
যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সম্পূর্ন অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে কেশপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা জানিয়েছে এইসব নাটক করে কেশপুরে বিজেপি কোন ভাবেই জায়গা পাবে না সেটা বিজেপি নেতৃত্বরা ভালো করেই জানে।কোথাও কোনো আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি সব মিথ্যে নাটক।
যদি এ ঘটনায় বিজেপির জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন,”আমরা সেই দিনই অভিযোগ করেছি।আমরা আর একটা থানায় অভিযোগ করব।অবিলম্বে প্রাক্তন সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবকে গ্রেপ্তার করতে হবে।যদিও তিনি অভিযোগ করে বলেন পুলিশের ভূমিকা সম্পূর্ণ তৃণমূল দলদাসের। তিনি এও বলেন পুলিশ বলছে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি যদি না নেয় আজ প্রার্থী সারাদিন কেশপুরে থাকবেন।কাল আমরা বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নেব।