Pottery:দানা’র প্রভাব মৃৎশিল্পালয়ে!আগুন জ্বেলে,ফ্যান চালিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

দানার প্রভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় গোটা রাজ্যসহ উড়িষ্যাতে।তবে এই বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো মেদিনীপুরের মৃৎশিল্পীরা।হাতে মাত্র তিনটে দিন বাকি তারই মধ্যে কালীপূজা।তাই এখন তড়িঘড়ি আগুন জ্বেলে ফ্যান চালিয়ে এই প্রতিমা শুকনোর কাজ চলছে।

চলছে প্রতিমা শুকানোর জোর তৎপরতা

ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব ইতিমধ্যে কমতে শুরু করেছে, কমতে শুরু করেছে জলের বৃষ্টির প্রকোপ।রোদ ওঠার পাশাপাশি আকাশ পরিষ্কার হচ্ছে কিন্তু এই ল্যান্ডফলের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষ আবাদের সঙ্গে মৃৎশিল্পীরা।সামনে কালী পূজা এবং সেই সঙ্গে জগধাত্রী পূজা।তাই প্রতিমা শুকানোর কাজ এখন জোরকদমে চালাচ্ছেন শিল্পীদের একাংশ।মূলত সাইক্লোন দানার আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত উড়িষ্যার সঙ্গে পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু জেলা।যার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই ২৪ পরগনা সহ দুই মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত এলাকা সমূহ। একধারে যখন মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে ঠিক তখনই অন্যদিকে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।এরই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৃৎশিল্পালয়ের কাজকর্ম।কেন না হাতে আর তিনটে দিন এরপরই কালীপুজোয় মেতে উঠবে বাংলা আর বাঙ্গালী মানুষজন।এর পরে রয়েছে জগদ্ধাত্রী পূজা।ফলে এখন মৃৎশিল্পালয়ে খাওয়া-দাওয়া ভুলে প্রতিমা তৈরীর কাজ চলছে জোর কদমে।

কিন্তু আবহাওয়ার অবস্থা খারাপ।গত তিনদিনে বৃষ্টির ফলে প্রতিমা শুকোচ্ছে না কিছুতেই।এরই সঙ্গে প্রতিমাকে বার করে রোদেও দেওয়া যাচ্ছে না।কারণ রোদ নেই চারিদিকে শুধু জল থৈ থৈ।এই অবস্থায় মণ্ডপ কর্তাদের হাতে কিভাবে প্রতিমা তুলে দেওয়া যাবে তাই চিন্তায় মৃৎশিল্পালয়ে।এদিন মেদিনীপুর শহরের ধর্মার একটি মৃৎশিল্পালয়ে সেরকম চিত্র দেখা গেল।চটজলদি প্রতিমা শুকানোর জন্য যেমন একদিকে আগুন জ্বেলে মূর্তি পোড়ানোর এবং মাটি শুকানোর কাজ চলছে ঠিক অন্যদিকে এক ও একাধিক টেবিল ফ্যান চালিয়ে চটজলদি মাটি শুকানোর কাজ চলছে এই কালী প্রতিমার।কেননা অতি দ্রুত এই প্রতিমার ডেলিভারি যাবে জেলা সহ বিভিন্ন জেলায়।কিন্তু প্রতিমাতে ততক্ষণ রং করা যাবে না যতক্ষণ না প্রতিমার মাটি শুকিয়ে যায়।তাই এক প্রস্থ প্রতিমা শুকাতে পাখা ব্যবহার করছেন করছেন মৃৎশিল্পালয়ে মানুষজন।যদিও তারা চাইছেন আকাশ পরিষ্কার হোক,রোদ উঠুক ঝলমলিয়ে।


এ বিষয়ে মৃৎশিল্পী সঞ্জীব গুপ্তা বলেন,”আমরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছি।ঘাড়ে পৌষ সংক্রান্তি অথচ প্রতিমা কিছুতেই শুকাচ্ছে না।এই ঝড় এবং এই আবহাওয়া যেমন ক্ষতি করেছে চাষাবাদে, মানুষের, তেমনি ক্ষতি করেছে আমাদের।এবারে প্রায় 65 টি ঠাকুরের অর্ডার রয়েছে। কিন্তু রোদ না উঠলে এই প্রতিমা শুকিয়ে তৈরি করে দেওয়া যাবে না।তাই আমরা চেষ্টা করছি ফ্যান চালিয়ে যাতে মাটির কাজগুলো চটজলদি করা যায় এরপর রং করে প্রস্তুত করা যায় প্রতিমা গুলি।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in