নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:
খড়্গপুর IIT এর নতুন ডেপুটি ডিরেক্টর হতে চলেছেন অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি। এক প্রেস বিবৃতিতে এরকমই তথ্য জানিয়েছে খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ।মূলত ভারতের প্রাচীনতম প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান তথা খড়্গপুর IIT তাঁর সুদীর্ঘ ৭৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডেপুটি ডিরেক্টর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন মহিলার অভিষেক হতে চলেছে। খুশির হাওয়া আইআইটি খড়্গপুরের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা,পড়ুয়া, প্রাক্তনীদের মধ্যে।
খড়্গপুর আই আই টি ডেপুটি ডিরেক্টর পদে একজন মহিলা বসতে চলেছেন যা ঘিরে উৎসাহ খড়গপুর আইআইটি জুড়ে।মূলত IIT র অধ্যাপক অমিত পাত্রর জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন অধ্যাপক রিন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়।কারণ অধ্যাপক অমিত পাত্র আইআইটি বারাণসী ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন সম্প্রতি। ফলে ডেপুটি ডিরেক্টর এর পদ ফাঁকায় রয়ে গেছে।এই ঘটনায় খড়গপুর আইটি কর্তৃপক্ষ তরফে জানানো হয়েছে,অধ্যাপিকা রিন্টু ব্যানার্জি খড়্গপুর আইআইটি র পি.কে সিনহা সেন্টার ফর বায়োএনার্জি অ্যান্ড রিনিউয়েবলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এবং বর্তমানে চেয়ারপার্সন।তিনি গত তিন বছর ধরে আইআইটি খড়গপুরের কৃষি ও খাদ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।শুধু তাই নয়, আইআইটি খড়্গপুরের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ডিনহিসেবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন,উদ্ভাবনী ও টেকসই প্রযুক্তি কেন্দ্রের (Centre for Rural Development, Innovative and Sustainable) প্রধান হিসেবে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
তাঁর উদ্বাবনী ভাবনা ও আবিষ্কার কেবল ভারতেই নয় আন্তর্জাতিক মহলেও প্রশংসিত বলে আইআইটি সূত্রে খবর। তাছাড়া জৈব প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের আর্থিকও বৈজ্ঞানিক জগতে অসামান্য অবদান জন্য ICAR-র অসামান্য মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ‘পাঞ্জাবরাও দেশমুখ পুরস্কার’- এ ভূষিত হয়েছেন।এছাড়াও,ভারতের বায়োটেক রিসার্চ সোসাইটি দ্বারা ‘সেরা মহিলা জীববিজ্ঞানী’;অ্যাসোসিয়েশন ফর ফুড সায়েন্টিস্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস্টথেকে ‘ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’,লুই পাস্তুর পুরস্কার,মদন মোহন মালব্য পুরস্কার এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই পুরস্কারও পেয়েছেন। পাশাপাশি একজন জীববিজ্ঞানী হিসেবে সারা পৃথিবী জুড়ে নিজের অসামান্য প্রতিভা ও উদ্ভাবনী সত্ত্বার স্বাক্ষর রেখেছেন এই রিন্টু ব্যানার্জি।
এই বিষয়ে অধ্যাপক রিন্টু ব্যানার্জি বলেন,”আমি গর্বিত ও সম্মানিত এই পদ পেয়ে।আমার লক্ষ্যই হবে একজন ডেপুটি ডিরেক্টর হিসেবে স্বল্প ব্যয়ে শক্তিশালী ও উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে আইআইটি খড়্গপুরের অসামান্য অবদান তুলে ধরা।সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের প্রাচীনতম এই আইআইটি’র গুরুত্ব ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করতেও আমি নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।”