IIT Kharagpur:তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য খড়গপুর আই আইটিতে!এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিল তৃণমূল

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,খড়গপুর:

এখনো ফাইজানের মামলা শেষ হয়নি তার মধ্যেই ফের পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার খড়গপুর আইআইটিতে।মৃত ছাত্রী দেবিকা পিল্লাই এর বাড়ি কেরালায়।সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ খবর পাঠানো হয়েছে বাড়িতে।যদিও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল জেলা সভাপতি বললেন গোটা দেশ গৈরীকরণ করতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটছে। রাগিং এর শিকার হয়ে মৃত্যু ঘটছে পড়ুয়াদের।

ফের আইআইটি খড়্গপুরে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য।সোমবার সকালে সরোজিনী নাইডু ও ইন্দিরা গান্ধী হলে থাকা পড়ুয়াদের নজরে আসে ছাদ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে এক ছাত্রী।এই খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইআইটি কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম দেবিকা পিল্লাই। বাড়ি কেরালার CHEPPAD থানার উত্তর এভুর এলাকায়। মূলত বায়োটেকনোলজি ও বায়ো সায়েন্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন দেবিকা।সূত্র অনুযায়ী দিন কয়েক আগেই ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিল সে।বাড়ি থেকে ফেরার পরেই এই ঘটনা। আইআইটি সূত্র অনুযায়ী জীববিজ্ঞান এবং জৈব প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তার বুদ্ধিমত্তা, নিষ্ঠা এবং প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যতের জন্য পরিচিত ছিল দেবিকা।এই পড়ুয়া ছিল সরোজিনী নাইডু,ইন্দিরা গান্ধী হলের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদিকা।এই পড়ুয়া বর্তমানে বায়োসায়েন্স অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের একজন প্রফেসর ইনচার্জের অধীনে গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপ নিচ্ছিলেন।কিন্তু তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।ইতিমধ্যেই সেই দেহ উদ্ধার করে পাঠানো প্রথমে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এরপর পোস্ট মর্টেম এর জন্য পাঠানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজও হাসপাতালে।আত্মহত্যা নাকি ঘটনার পেছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।

যদিও এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শাসক দল।তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন,”কিছুদিন আগেই ফাইজান আহমেদ নামে এক পড়ুয়ার মৃত্যু ঘটেছে।প্রথমে সুসাইড বলল পরে তা দেখা গেছে তাকে মেরে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।আবার ছাত্রীর মৃত্যু।আসলে এত বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইআইটি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের গৈরিকরণ করার প্রচেষ্টা চলছে।যারা তা মানছে না তাদেরকে রাগিং ও টর্চার করে মেরে ফেলা হচ্ছে।পরে দেখানো হচ্ছে তার সুসাইড।আমরা দাবি করছি অবিলম্বে আইআইটি ডিরেক্টারের শাস্তির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,২০২২ সালের ১৪ই অক্টোবর খড়গপুর আইআইটিতে এরকমই এক মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ফাইজান আহমেদের।যদিও সেই ঘটনায় ফাইজানকে মারা হয়েছে বলেই দাবি করেছিল মৃতের পরিবার।এরপর বহু ঘটনা ঘটেছে,তারপর আইআইটিতে মৃত ফাইজানের তদন্ত নিয়ে নতুন করে রিপোর্ট এসেছে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে রিপোর্টে দেখা গেছে যে পড়ুয়া ফাইজানের মৃত্যুর পেছনে কারণ রয়েছে নৃশংস ভাবে খুনের তত্ত্ব।যেখানে বন্দুকের গুলি এবং ভারি কিছু জিনিস দিয়ে আঘাতের মতো তত্ত্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।সেই ঘটনাই নতুন করে মোড় নিয়েছে এই ফাইজানের মৃত্যু ঘিরে।তারই মধ্যে এই পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে।


Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

dnews.in