Indira Gandhi Died : চলে গেছেন “ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার”রেখে গেছেন কিছু অজানা তথ্য ভারত বাসীর জন্য! শ্রদ্ধা জানালো মেদিনীপুর বাসি

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর :

দেশের প্রথম আয়রন লেডি কে স্মরণ করলো ভারতবাসী সহ জেলা কংগ্রেস।এইদিন ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এরই সঙ্গে তার জীবনী বর্ণনা করেন কংগ্রেসী নেতাকর্মীরা। মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চকে ইন্দিরা গান্ধী ও রাজীব গান্ধীর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেদিনীপুর জেলাবাসীর সঙ্গে কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকেরা।

আজ ছিল দেশের প্রথম “আয়রন লেডি র” জন্মদিন আর যার স্মরণ করলো আপামর ভারতবাসী সহ মেদিনীপুর শহরের ও জেলার কংগ্রেসীরা।পুরো নাম ইন্দিরা প্রিয়দর্শনী গান্ধী,জন্ম ১৯১৭ সালের ১৯ সে নভেম্বর। এই ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন একমাত্র কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত প্রথম প্রধানমন্ত্রী।ভারতের তিনি তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নানাবিধ কার্যকলাপ করেছে যা আজও ভারতবাসী প্রত্যক্ষ অপ্রত্যক্ষ ভাবে স্মরণ করে তাকে। তার জীবনী নিয়ে বলতে গেলে বলা যায় ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন নেহেরু কন্যা ও প্রয়াত রাজীব গান্ধীর মা। তার জীবনী নিয়ে বলতে গেলে বলা যায় ১৯৪৭ থেকে ৬৪ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরুজির পরিচারিকা হিসেবে তিনি কাজ করেন।এরপর ১৯৫৯ সালে, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সেই সময়ের সভাপতি হিসাবে কমিউনিস্ট-নেতৃত্বাধীন কেরালা রাজ্য সরকারের বিলুপ্তিতে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।

পরবর্তীকালে ১৯৬৪ সালে নেহরুর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রী।তিনি তার সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। একই বছর তিনি ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। পরে ১৯৬৬ সালে জানুয়ারি মাসে হঠাৎ শাস্ত্রীর মৃত্যুতে গান্ধী তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোরারজি দেশাইকে কংগ্রেস পার্টির সংসদীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে পরাজিত করে নেতা হন এবং শাস্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্থলাভিষিক্ত করেন। ১৯৬৭ সালে সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে পরবর্তী দুটি নির্বাচনে কংগ্রেসকে জয়ী করতে নেতৃত্ব দেন ইন্দিরা গান্ধী।যেখানে তিনি প্রথম ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নির্বাচিত হন। তাকেই “ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার” হিসেবে তাকে ডাকা হতো সেই সময়। তিনি নানাবিধ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকা কালীন সেই সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৯৬৭ সালে চীনের সঙ্গে সামরিক সংঘর্ষে চিনা অনুপ্রবেশ রোধ করা। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ভারতীয় সেনাকে নিয়ে বাংলাদেশ গঠনে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ। আরেকটি সবচেয়ে বড় তার সাহসী পদক্ষেপ হলো তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্যকলাপ রোধ করতে ১৯৭৫ থেকে ৭৭ পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা।

এছাড়াও তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখের বিরুদ্ধে “অপারেশন ব্লুস্টার” করেছিলেন সেই সময়। যার ফলস্বরূপ ছিল ১৯৮৪ সালে দেহরক্ষীদের দ্বারা তাকে হত্যা করা।একটা সময় হেনরি কিসিঞ্জার তাকেই বর্ণনা করতে গিয়ে”আয়রন লেডির” হিসেবে অভিহিত করেন। ইন্দিরা গান্ধী মারা গেছেন কিন্তু “ম্যাডাম প্রাইম মিনিস্টার’রয়ে গেছে ভারতবাসীর হৃদয়ে আজও।এছাড়া বিগত ১৯৯৯ সালে BBC দ্বারা তৈরী একটি অনলাইন জরিপে ইন্দিরা গান্ধীকে “Women Of The সহস্রাব্দ’ উপাধি দেওয়া হয়।তবে সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ জন মহিলার মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীর নামকরণ করেছিলেন যারা ম্যান অফ দ্যা ইয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।


Share

dnews.in