নিজস্ব প্রতিনিধি,লালগড়:
১২ বছর পর ফের ইনক্লাব জিন্দাবাদ স্লোগান তাও আবার লালগড়ের নেতাই গ্রামে। ইনসাফ যাত্রায় ইনসাফ চাইতে নেতাই গ্রামে মিছিল পৌঁছল মীনাক্ষীর।সেখানে তিনি ডালিম পান্ডে,অনুজ পান্ডেদের নিয়েই এই মিছিলে হাঁটেন এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বঞ্চনা,হিংসার হিংসা ইনসাফ চাইলেন। যদিও নেতাই মামলায় অভিযুক্তদের নিয়ে ইনসাফ মিছিলে কেন? সেই বক্তব্যে মীনাক্ষী বলেন “নেতাই মামলা এখনো বিচারাধীন”।
২০১১ সালের পর এই প্রথম “ইনক্লাব জিন্দাবাদের” স্লোগান দিয়ে লাল ঝাণ্ডার মিছিল দেখলো নেতাই গ্রামবাসী।সোমবার রাত্রে লালগড়ের নিতাই গ্রামে ইনসাফ যাত্রার মিছিল করেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি।মীনাক্ষীর মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।বাঁকুড়ার পর ৩২ দিনের মাথায় এদিন বিকেলে লালগড়ের নেপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর,নন্দলালপুর,নেপুরা ও নছিপুর গ্রামে ইনসাফ যাত্রার মিছিলও পথসভা করার পর সিজুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সিজুয়া গ্রামে ইনসাফ যাত্রার মিছিল ও পথসভা করে মীনাক্ষীতারপরেই পৌঁছায় নেতাই গ্রামে।গ্রামে ফুল্লরা মন্ডলের বাড়ির কাছ থেকে ইনসাফ যাত্রার মিছিল শুরু করেন মীনাক্ষী।এদিন এই ইনসাফ যাত্রার মিছিলের মীনাক্ষীর সঙ্গে ছিলেন অনুজ পান্ডে,ডালিম পান্ডে সহ একসময়ের দাপুটে সিপিএমের নেতারা। মিছিলের শেষে লালগড়ের এসআই চকে পথসভাও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামে মিছিল চলাকালীন গ্রামবাসীদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে।সেই ঘটনায় ৪ জন মহিলা সহ ৯ জন নিহত হন।আহত হন বহু গ্রামবাসী।এই ঘটনায় অনুজ পান্ডে,ডালিম পান্ডে,রথিন দণ্ডপাঠ সহ একাধিক তাবড় সিপিএমের নেতা গ্রেপ্তার হন।পরবর্তী কালে রাজ্যের পালাবদলের পর সিপিএমের তেমন একটা অস্তিত্ব আর দেখা যায়নি নেতাই গ্রামে। অপরদিকে নেতায় গণহত্যার মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই এর হাতে।আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় রথীন দণ্ডপাঠ,অনুজ পান্ডে,ডালিম পান্ডেরা জেল থেকে ছাড়া পায়।কিন্তু ২০১১ সালের পর নিতাই গ্রামে আর লাল ঝাণ্ডার মিছিল দেখা যায়নি।শোনা যায়নি ইনক্লাব জিন্দাবাদ এর স্লোগান।আজ মীনাক্ষীর নেতৃত্বে নিতাই গ্রামে মিছিল সংগঠিত হলো বামেদের।যদিও মীনাক্ষীর ইনসাফ যাত্রার মিছিলকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির বেদী সহ গ্রাম জুড়ে পোস্টারিং দেখতে পাওয়া যায়।নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সাদা কাগজের উপর পোস্টার গুলিতে লেখা ছিল, যারা নেতাই গণহত্যা ঘটিয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়েই মীনাক্ষী ইনসাফ যাত্রা করছে নেতাইয়ে।মীনাক্ষীর কাছে ইনসাফ চাই নেতাই গ্রাম।
নেতাই গ্রামে নেতাই শহীদ স্মৃতি রক্ষা কমিটির ইনসাফ চেয়ে পোস্টারিং প্রসঙ্গে রাজ্য মীনাক্ষী বলেন,”যেকোনো অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই লড়েছে । নেতাই এর ঘটনা বিচারাধীন।বিচারে যা প্রমাণ হবে তা হবেই