Jhargram Strike: আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের 12 ঘন্টা বনধ ঝাড়গ্রামে!বনধ উপেক্ষা করে রাস্তায় পর্যটকেরা

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:

ভরা পর্যটকের বাজারে ১২ ঘন্টা ভারত বনধের মিশ্র প্রভাব পড়ল ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। মূলত আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের তরফ থেকে এই বনধ ডাকা হয়েছিল।এই পিকনিক এবং ঘোরার মরশুমে এই বনধ পর্যটকদের অনেকখানি সমস্যায় ফেললেও রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল, দোকান পাট ছিল অনেক অনেকাংশে খোলা। বনধের মধ্যেও রাস্তায় দেখা যায় পর্যটকদের।

প্রসঙ্গত অবিলম্বে সারনা ধর্মের কোড় চালু করার দাবি কে সামনে রেখে ১২ ঘন্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল সালখান মুর্মুর নেতৃত্বাধীন আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান।সেই বনধের প্রভাবে এদিন সকাল থেকেই রাস্তায় কোনো বেসরকারি বাসে দেখা নেই,যদিও সময় মতো সরকারি বাস চলতে দেখা গিয়েছে।রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।ঝাড়গ্রাম শহরে সিংহভাগ দোকান বাজার খোলা রয়েছে।রাস্তায় স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম যানবাহন চলছে।শনিবার সকালে বনধের সমর্থনে বেলীয়াবেড়া থানার অন্তর্গত ফেঁকো এলাকায় ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বনধ সমর্থনকারীরা।

আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি সঞ্জয় হেমব্রম বলেন,”সারনা ধর্মের কোড় চালু করার দাবিতে আমাদের রাষ্ট্র নেতা সালখান মুর্মু ১২ ঘন্টা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে।তারই সমর্থনে আজ আমরা সকাল থেকে থেকো ফেঁকো চকে অবরোধ শুরু করেছি।সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত আমাদের এই অবরোধ চলবে।তিনি আরো জানান,” ঝাড়গ্রাম জেলা সহ পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়া, বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বনধের প্রভাব পড়েছে”।তবে রাস্তা অবরোধ থাকলেও জরুরী পরিষেবার গাড়িগুলিকে যাতায়াতে ছাড় দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সমর্থনকারীরা ।জানা গিয়েছে ভরা পর্যটকের মরশুমে এই বছর ভালো পর্যটকের আগমন হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলায়। ঝাড়গ্রামের গেস্ট হাউস,হোটেল ও হোম স্টে গুলিতে পর্যটকে ঠাসা। পর্যটন ব্যবসায়ীদের দাবি,এদিন বনধ থাকলেও তার তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।তাই সকালে পর্যটকরা বেড়ানোর জন্য বেরিয়ে পড়েছেন ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।


Share

dnews.in