নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম:
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অতি দ্রুততার সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই ঝাড়গ্রামে বজ্রপাতে মৃত ৪ জন ব্যক্তি পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের কার্যালয়ে মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা,সাংসদ কালীপদ সরেন,বিধায়ক দুলাল মুর্মু এবং ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল আগরওয়ালা।
প্রসঙ্গত,গত সোমবার দুপুরে জমিতে কৃষি কাজ করার সময় লালগড় থানার অন্তর্গত শুটপিপুল গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় লাল্টু পূজারী(৩৬)ও কাজল পূজারী(৩২) নামে স্বামী-স্ত্রীর।এই ঘটনায় অসহায় হয়ে পড়ে তাদের দুই সন্তান।টিলাবনী হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র সানন্দা পূজারী এবং অষ্টম শ্রেণীর প্রতিমা পূজারীর হাতে এদিন ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।সেই ক্ষতিপূরণের চেক পাওয়ার পর মৃত লাল্টু পূজারীর দাদা তপন পূজারী বলেন,”গত সোমবার জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছিল ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর।অসহায় হয়ে পড়েছে তাদের দুই সন্তান।আজ যে তাদের আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হলো তা দিয়ে তাদের আগামী ভবিষ্যৎ গড়তে অনেকটাই গুরুত্ব রাখবে”।অপরদিকে,গত সোমবারই বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত পৃথক দু’টি ঘটনায় বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়।লাউপাড়া গ্রামে কৃষি জমি থেকে বাড়ি ফেরার সময় মিহির কুমার মহাপাত্র (৪০) নামের একজনের বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে।মিহির কুমার মহাপাত্রের স্ত্রী অনিমা মহাপাত্র এর হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।এছাড়াও চন্ডিয়াস গ্রামে খালে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় প্রফুল্ল মান্না (৪৯) নামের এক ব্যক্তির।প্রফুল্ল মান্নার মেয়ে বাসন্তী বারিক এর হাতে আজ ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,”ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দিলাম।যাতে তাঁদের আগামী ভবিষ্যতে চলার পথে কোন বাধা না হয়।