নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:
টোটো অটো সহ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে শেষ পর্বে মনোনয়ন জমা করলেন মেদিনীপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া।এদিন তিনি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা কে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে শোভাযাত্রা করে এসেছিলেন মনোনয়ন জমা দিতে।যদিও তার সঙ্গে ছিল মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা,বিধায়ক,যুব সভাপতি এবং ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।প্রায় হাজার পাঁচ সাথে লোক নিয়ে তিনি এই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেতার ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানান এই তৃণমূল প্রার্থী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মেদিনীপুর জেলার দুটি লোকসভা ঘাটাল ও মেদিনীপুর। ইতিমধ্যে ঘাটাল লোকসভার বিজেপি তৃণমূল এবং সিপিএম প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গত কয়েকদিন আগেই।অন্যদিকে মেদিনীপুর লোকসভার সিপিএম অন্যান্য দল মনোনয়ন জমা দেন।তবে জুন মালিয়া তথা তৃণমূল প্রার্থী এতদিন মনোনয়ন জমা দেননি। এদিন তিনি শেষ পর্বে এসে এই মনোনয়ন জমা দিতে এলেন।উল্লেখ্য মেদিনীপুর লোকসভায় গত ২০১৯ সালের প্রায় লক্ষাধিক ভোটে জিতে এই লোকসভা দখল রেখেছিল বিজেপি।এখান থেকে জয়ী হয়েছিল বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় নেতা দিলীপ ঘোষ। যদিও এবারে তাকে সরিয়ে তার জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে আসানসোলের বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কে। ইতিমধ্যে এই অগ্নিমিত্রা পল প্রচার চালাচ্ছেন জোর কদমে। গত কয়েকদিন আগে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়ে এই বিজেপি নেত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি জেতার ব্যাপারে ২০০% আশাবাদী।শুধু সময়ের অপেক্ষা।তবে ৪ ই জুন সরকারিভাবে ঘোষণা হয়ে যাবে তিনি জিতেছেন।
তবে এই দিনও মনোনয়ন দাখিল করে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বললেন তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।এদিন প্রথম প্রশ্ন করা হয় যে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের নমিনেশনের প্রতিযোগিতা কেন এ বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী বলেন এটা কোন প্রতিযোগিতা নয়।আমাদের এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মূলত মানুষের অংশগ্রহণ করেছে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে।যেখানে জেলার নেতা নেত্রী এবং বিধায়করা রয়েছে।এটা একটা স্ট্রং পরিবারের চিহ্ন। তবে ভিড় দেখে মনে হচ্ছে জয়ের ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।নমিনেশনের পর শহরবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জুন বলেন আমি চাইবো ফ্রি এন্ড ফেয়ার ভোট হওয়ার।এরই সঙ্গে জেলার এই লোকসভার মানুষজনকে বলবো আপনারা সকাল সকাল নিজের ভোটটা নিজে দেবেন।এটা গুরুত্বপূর্ণ ইলেকশন এবং উৎসব।তবে তিনি এও বলেন ভোটের আগে,ভোটের দিন এবং ভোটের পর কোন ধরনের ভায়োলেন্স যাতে না হয় সেটাই সবার কাছে বার্তা।এরপর আবহাওয়া জুনের অনুকূল প্রসঙ্গে বলেন যেভাবে আমাদের কর্মী সমর্থকরা মিছিল এসেছে তাতে ঈশ্বর আমাদের প্রতি সহায় আছে বলে আমার মনে হয়।
এরপর প্রশ্ন ছিল গণদেবতার ভরসা না করে মন্দির, মসজিদ চার্চে কেন পুজো দিয়ে দেওয়ার হিড়িক এই প্রসঙ্গে প্রার্থী বলেন গণদেবতার উপরই আমাদের ভরসা।কারণ ঈশ্বর তো মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন।পাশাপাশি তিনি বলেন আই এম নট হিপোক্রেট বরং আমি একজন রিলিজিয়াস গড ফিয়ারিং পার্সন।