June Maliya Prochar:A গ্রুপেও নাম নেই,B গ্রুপে ও নাম থাকবে কি না জানে না,তাই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে দিলীপ দা!কটাক্ষ জুনের

Share

নিজস্ব প্রতিনিধি,মেদিনীপুর:

দিলীপদা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। কারণ তার এ গ্রুপে নাম নেই, আবার বি গ্রুপে নাম বেরোবে কিনা তাও অনিশ্চয়তা।আর তাই জন্য এসব কথা বলছেন,মেদিনী পুরে প্রস্তুতি সভা করতে এসে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল বিধায়িকা জুন মালিয়ার।তারই পাশাপাশি তিনি বললেন এখনও লড়াই অনেক বাকি,এখনোও অনেক হাসি কান্না বাকি আছে।

প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে মেদিনীপুরে ছুটে এলেন মেদিনীপুরের বিধায়িকা তথা অভিনেত্রী জুন মালিয়া।এদিন তিনি আমি-ওরা ভেদাভেদ ভুলে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেন মেদিনীপুরের প্রদ্যুৎ স্মৃতি সদনে।সেই সদন হলে তৃণমূল নেতা কর্মী বিভিন্ন স্তরের পদাধিকারী ব্যাক্তিদের নিয়েই প্রস্তুতি সভায় বসেন তিনি। উপস্থিত হয়েছিলেন মেদিনীপুরের জেলার জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা, বিধায়ক দিনেন রায়,প্রদ্যুৎ ঘোষ সহ সকলে।সেই প্রস্তুতি সভা করার আগেই এক সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মেদিনীপুরের বিধায়িকা।সেখানেই গত মঙ্গলবার এর বিজেপির যুব আড্ডাতে তৃণমূলের বাইক রালি নিয়ে বিশৃঙ্খলাময় পরিস্থিতি সেই সঙ্গে চোর চোর স্লোগান এবং দিলীপ ঘোষের বেলাগাম মন্তব্য নিয়ে জিজ্ঞেস করে হলে জুন মালিয়া বলেন দিলীপবাবু অত্যন্ত ভালো মানুষ। কিন্তু ওনার দল এ গ্রুপেও উনার নাম বের করেনি।

বি গ্রুপেও উনার নাম বের হবে কিনা তাও নিশ্চয়তা নেই। তাই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এইসব মন্তব্য করে বেড়াচ্ছে।তবে দিলীপ দা কে বলব এখনই মানসিকভাবে ভেঙে না পড়তে।কারণ খেলা অনেক হবে, হাসি কান্না অনেকে হবে,ভোটের লড়াই হবে,তাই প্রস্তুত থাকতে।তারই পাশাপাশি নিজের কর্মীদের নিয়ে তিনি বলেন আমাদের কর্মীরা আমার নাম ঘোষনা হওয়াতে অনেকে উচ্ছ্বসিত এবং উচ্ছ্বাসের ভাষা তারা প্রয়োগ করেছে এতে খারাপের কিছু নেই।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার বিকেল সন্ধ্যা নাগাদ মেদিনীপুর পঞ্চুরচক কলেজ স্কোয়ারে একটি যুব আড্ডার ডাক দিয়েছিল বিজেপি।সেই যুব আড্ডাতে মিলিত হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।যুব আড্ডা চলাকালীনই তৃণমূলের একটি বাইকের রালি যাওয়ার সময় চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে।এরই সঙ্গে বাইকের হর্নের দাপট বাড়িয়ে তারা স্লোগানে ভরিয়ে তুলে।পরক্ষণে বাইক দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়ে এসো একই পরিস্থিতি তৈরি করলে পাল্টা দিলীপ ঘোষ ও চোর চোর স্লোগান দেন এবং তৃণমূল নেতাকর্মীদের তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন।তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ ফসকে বেলাগাম হয়ে পড়েন। এরই সঙ্গে তিনি এক হাত নেন পুলিশ এবং পুলিশ সুপারকে।যেই ঘটনায় উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয় মেদিনীপুরে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে জুন মালিয়া সম্পর্কেও অনেক মন্তব্য করেন বিজেপি সাংসদ।


Share

dnews.in