নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অকুলসাঁড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির।এই শিবিরে ১৯ জন মহিলা সহ ৬০ জন রক্তদান করেন।অকুলসাঁড়া গ্রামের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে স্থানীয় সংঘ “আমরা ক’জন’-এর পরিচালনায় এই রক্তদান শিবির আয়োজিত হয়।আয়োজনে সাথী হন অকুলসাঁড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সরোজ ত্রিপাঠী।
এই শিবিরটি সরোজবাবুর মাতা প্রয়াত দীপ্তি রাণী ত্রিপাঠী’র স্মরণে আয়োজিত হয়।শিবিরটি সংগঠিত হয় স্থানীয় চিকিৎসক ডাঃ গজেন্দ্রনাথ মান্নার চেম্বারে।শিবিরটি উদ্বোধন করেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতি অন্তর্গত ২ নং শীর্ষা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কার্ত্তিক ব্যানার্জী।শিবিরটির প্রতি সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মলয় ঘোষ,অকুলসাঁড়া সংসদের পঞ্চায়েত সদস্যা শিল্পা দত্ত,গ্রামের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আসগর আলি প্রমুখ। মলয়বাবু তাঁর বক্তব্যে এমন মানবিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।এলাকার শিক্ষক_ সমাজ কর্মী ডাক্তার বাবুদের সম্মিলিত প্রয়াসে স্বাস্থ্য শিক্ষায় গ্রামটি প্রগতির পথে থাকবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য এই গ্রামে এটি ছিল তৃতীয় বর্ষ রক্তদান শিবির। বিগত করোনা কালে এলাকার ডাক্তারবাবু একক উদ্যোগে রক্তদান শিবির আয়োজন করেন।এই সামাজিক উদ্যোগের অন্যতম মুখ ডাঃ গজেন্দ্রনাথ মান্না জানান,” এলাকার বিবাহযোগ্য যুবক যুবতীদের জন্য থ্যালাসেমিয়া বাহক নির্ণয় শিবির খুব শীঘ্রই আয়োজন করবো।”ডাক্তারবাবু ও তাঁর পরিবারের সবাইকে নিয়ে শিবিরটি সুষ্ঠু পরিচালনা করেন শিবিরটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উদ্যোক্তাদের পক্ষে শিক্ষক সরোজ কুমার ত্রিপাঠী জানান,”আমার মায়ের স্মৃতি জাগরুক রাখতে এমন সামাজিক উদ্যোগে আগামীতেও শামিল হব।” সরোজবাবু শিবির সফল করতে তাঁর সহধর্মিনী মধুমিতা ত্রিপাঠী,সহ শিক্ষক অনুপ সামন্তকে নিয়ে শিবিরে উপস্থিত ছিলেন।শিবিরে উল্লেখযোগ্য দিক হল রক্তদানে মহিলাদের বহুল অংশগ্রহণ।
এছাড়া প্রথমবার রক্ত দিতে অনেকেই হাজির হন।রক্ত সংগ্রহে ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড সেন্টার কর্তৃপক্ষ।প্রাথমিক পর্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গড়সেনাপত্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তথা রক্তদান আন্দোলন কর্মী স্নেহাশিস চৌধুরী।এলাকায় রক্তদান শিবির ঘিরে বিপুল উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।