নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
কেশপুর ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগপাতা গ্রামে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উদ্যোগেই জমি দখলের অভিযোগ উঠল।যা নিয়ে শোরগোল জেলা জুড়ে।বাগপাতা গ্রামের স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন খাঁ এর নেতৃত্বেই প্রায় ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমিতে চাষ করতে দেওয়া হয়নি স্থানীয় চাষীদের।পাশাপাশি প্রায় দু বিঘার বেশি জমিতে জমির মালিক কে চাষ করতে দেওয়া হয়নি সেখানে চাষ করেছে মনোরঞ্জন খাঁ র নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী।গত দুদিন আগেই লাঠি সোটা নিয়ে জমি দখল করে ওই তৃণমূল নেতৃত্ব।অবশেষে কোর্টের দ্বারস্থ শাসকদলের চাষিরা।
এ যেন ঠিক উলট পুরান আর এই উলট পুরানেই ঘটনা ঘটলো কেশপুরে। দীর্ঘদিন ধরে শাসকদলের চাষীদের জমি জোর করে কেড়ে চাষ করছে তৃণমূলের খোদ পঞ্চায়েত সদস্য যা নিয়ে পুলিশ প্রশাসন,পঞ্চায়েত প্রধান এবং শেষে কোর্টের দ্বারস্থ হল শাসকদলের চাষীরা।ফলে আরো একবার এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে সেই গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিটা আরও একবার প্রকাশ্যে চলে আসলো। ঘটনাক্রমে জানা যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বিধানসভা কেশপুরের বর্তমানে তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ বর দোলুই এর অনুগামী বলেই পরিচিত ওই মনোরঞ্জন খা।আর যাদের জমি দখল করা হয়েছে তারা শাসকদলের ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার অনুগামী বলেই পরিচিত।কেশপুর ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগপাতা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল চাষীদের অভিযোগ চাষে জমি তাদের ফসল তাদের কিন্তু চাষ করতে দিচ্ছে না তাদেরই শাসকদলের ব্লক সহ সভাপতি নেতৃত্বে বেশ কিছু দুষ্কৃতি বাহিনী।খোদ পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন খা, তার লেঠেল বাহিনী নিয়ে এসে জমি জোর করে দখল করে চাষ করছে।প্রতিবাদ করতে গেলেই জুটছে মারধর, অত্যাচার।এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান,থেকে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই জমির মালিকরা।কেননা চাষের মরশুমেও যদি চাষ না করতে পারে তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে ওই ক্ষুদ্র চাষীদের।
এ বিষয়ে চাষী গোবিন্দ দোলই,বিকাশ দোলইরা বলেন, “এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন খাঁ শাসক দলে রয়েছে।আমরাও শাসকদলের কর্মী।কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে এই পঞ্চায়েত সদস্য। শুধু আমাদের জমি না,এলাকার সাধারণ চাষীদের জমি ও তারা কেড়ে নিয়েছে।কিছু বলতে গেলেই দুষ্কৃতি দিয়ে লাঠি সোটা নিয়ে মারধর করে আমাদের।আমরা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল অধিকারীর বক্তব্য যে বা যারা এ ধরনের কাজ করেছেন খুব অন্যায় করেছেন।ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।চাষীদের অভিযোগ সঠিক।এবার দেখার প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়।
এ বিষয়ে কেশপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা সাংবাদিকদের বলেন এরকম ঘটনা আমি শুনেছি।তবে এই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তা কোনভাবেই বরদাস্ত করবো না।পুলিশকে বলবো তার আইন মাফিক ব্যবস্থা নিতে এবং দোষী যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়।
যদিও এই ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিজেপি।বিজেপির বক্তব্য এই ধরনের গোটা গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে কেশপুর তার ব্যাতিক্রম নয়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন একধারে কড়া হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তখন অন্যদিকে হুঁশ ফিরছে না খোদ শাসক দলের নেতৃত্বের।