নিজস্ব প্রতিনিধি,কেশপুর:
প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের কেশপুরের তরুণ তরতাজা রাজেশ ঘোষ দীর্ঘ ছয় বছর ধরে আর্মিতে কাজ করেছেন।কিন্তু এক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারিয়েছে এই তরতাজা যুবক।সেই যুবককে গ্রামের মধ্যে স্মরণ করে রাখতে তার মূর্তি বসলো গ্রামের মধ্যে। প্রতিবছর এই এই দিন টিতে যাতে যথা যোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয় তারই আবেদন সেনাবাহিনীর সহ গ্রামের মানুষের।
শহীদ রাজেশ ঘোষের মূর্তি উন্মোচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রাক্তন সৈনিকরা।মুলত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত ৩ নম্বর আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলুনি গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ ঘোষ। ১৯৯৩ জন্মগ্রহণ করেন তিনি।পড়াশোনা শেষ করার পর ২০১৩ সালে ভারতীয় আর্মি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ২০১৯ সালে বাড়িতে এসে ব্যক্তিগত কাজে বেরিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় তার।দীর্ঘ ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশমাতৃকার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। জওয়ানের অকালে মৃত্যুতে মূর্তি বানানোর সিদ্ধান্ত নেই কেন্দ্র বাহিনী। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে কেন্দ্র বাহিনীর পক্ষ থেকে তার গ্রামের বাড়িতে মূর্তি স্থাপন করা হবে।সেই প্রতিশ্রুতি মতো অবশেষে ২০২৪ সালের ৩০ শে মে অর্থাৎ আজকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তার পূর্ণ অবয়ব মূর্তি বসানো হয়।এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সামরিক বিভাগের প্রাক্তন নায়েক চণ্ডীচরণ রায়,প্রাক্তন সাব মেজর রাজকুমার মুখার্জী,আনন্দপুর থানার পুলিশ আধিকারিক রবি লোচন বাঙাল,আমনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শ্যামাপদ পাখিরা ও এলুনির পঞ্চায়েত সদস্য সুভাষ কোল্যা সহ গ্রামের মানুষ জন।
প্রাক্তন নায়েক চণ্ডীচরণ রায় বলেন আমি সেই মাকে প্রণাম জানাই, যিনি রাজেশের মতো দেশের বীর সৈনিকদের গর্ভধারণ করেছেন।রাজেশের আত্মার শান্তি কামনা করি।সেই সঙ্গে পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।এরই সঙ্গে আবেদন রাখছি প্রত্যেক বছর এই দিনটিতে শহীদ রাজেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখতে।